আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে ভারত। ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। রয়েছে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পর্কও।
তাই নিয়মিতই দেশটির কাছ থেকে অস্ত্র কেনে ভারত। তাই আন্তর্জাতিক পরিসরে ইসরায়েল বিরোধী কোনও প্রস্তাব উঠলে তাতে সমর্থন জানানো তা থেকে বিরত থাকে ভারত।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে (ইউএনএইচআরসি) তেমনই একটি প্রস্তাব ওঠে। আপাতত ইসরায়েল বিরোধী ওই প্রস্তাবে বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ ভোটদানে বিরত থাকে ভারত। এর আগেও একই ধরনের কাজ করেছে ভারত। ২০১৫ সালেও ইউএনএইচআরসি’তে ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে ভারত।
অধিকৃত গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি ১১ দিন ধরে নির্বিচার হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়। কিন্তু তার আগে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমতাবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের ডাক দেয় ইউএনএইচআরসি।
জেনেভায় অবস্থিত নিরাপত্তা পরিষদের সদর দপ্তরে এ বিষয়ে ভোটাভুটিও হয়। আর সেই ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে ভারত। মানবাধিকার পরিষদের মোট ৪৭ সদস্যের মধ্যে ২৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারতসহ ১৪ দেশ। যদিও শেষপর্যন্ত পাস হয়েছে ওই প্রস্তাব।
তবে ইউএনএইচআরসি-এ এই ভোটাভুটি পর বিশ্ব কার্যত দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তবে প্রস্তাবটিকে সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশ। আর ভারতের পাশাপাশি ভোটদানে বিরত থেকেছে ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ।
-এটি