আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার। তবে করোনা থেকে সুস্থও হয়ে উঠছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে সুস্থ হওয়ার পরেও অনেকের শরীরে ছাপ ফেলে যাচ্ছে করোনা। বিশেষত ফুসফুসে। ব্রিটেনের এক গবেষকরা বলছে, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার তিন মাস পরেও তার প্রভাব থাকছে শরীরের অন্যতম প্রধান অঙ্গ ফুসফুসে।
দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিন মাস পরেও দেখা যায় যে, তাদের ফুসফুসে রয়েছে করোনা সংক্রমণের প্রভাব। সিটিস্ক্যানে ধরা পড়েনি সেই চিহ্ন। ফলে আপাতভাবে চিকিৎসকরা তাদের সুস্থই বলছেন। কিন্তু শ্বাসকষ্ট কমছে না তাদের।
এই রোগীদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্রিটেনের একদল গবেষক এক অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। নাম ইমেজিং। এই পদ্ধতিতে দেখা গেছে, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এই রোগীদের ফুসফুস এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
ইংল্যান্ডের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন ‘রেডিওলজি’ নামক এক বিখ্যাত জার্নালে। সেখানে তারা জানিয়েছেন, এ রকম অনেকে আছেন, কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার তিন মাস বা পাঁচ মাস পরেও যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা অল্প হলেও থেকে যাচ্ছে।
সে রকম রোগীদের এক উন্নত ধরনের এমআরআই করে দেখেছেন তারা। তাতে স্পষ্ট ধরা পড়ছে সংক্রমণের প্রভাব। কারও কারও ফুসফুস এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত, যে ঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছচ্ছে না রক্তে। আর সেই কারণেই শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে।
যে সব কোভিড-১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক সময়ে, শুধু তাদের ওপর হয়েছে গবেষণা। এরপর ধীরে ধীরে দেখা হবে, যারা হাসপাতালে যাননি, তাদের ফুসফুসের অবস্থাও। সব দেখে তবেই বোঝা যাবে ফুসফুসের ঠিক কতটা ক্ষতি করছে এই মারণ করোনা ভাইরাস।
-এএ