আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মঙ্গলে যাবে বাংলাদেশের নির্ভীক! নির্ভিক কোনো ব্যক্তির নাম নয়, এটি একটি ড্রোন। যার মডেল বানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ভারতে অনুষ্ঠিত ‘মার্স সোসাইটি সাউথ এশিয়া’র একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বুয়েটের দলটি ছিনিয়ে এনেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। এতদিন ভিনদেশি নভোযানের দখলে থাকা মঙ্গলে এবার উড়তে পারবে বাংলাদেশের ড্রোন।
নির্ভীক বানিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এর আগেও বহু রোভার বানিয়েছেন তারা। কিন্তু মঙ্গল গ্রহে কি ড্রোন পাঠানো সম্ভব? সম্প্রতি এমন একটি আয়োজন করে মার্স সোসাইটি। বিশ্বের নানা দেশের ৩০ টি দল এতে অংশ নেয়। বুয়েটের দলটির নাম ইন্টারপ্লানেটার। সেই আয়োজনে ৮ম স্থান দখল করে বুয়েট। এরপরই ৯ম স্থানে আছে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, আর ১৬ তম স্থানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
ইন্টারপ্ল্যানেটার সদস্য ফারসিয়া কাওসার চৌধুরী বলেন, কেউ যদি জানতে চাই ড্রোন কিভাবে কাজ করে বা কিভাবে বানায়? তার জন্য রিসোর্স প্রচুর আছে, তারা সেটা বানাতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ড্রোনটা পৃথিবীর জন্য না, পৃথিবীর বাইরের মঙ্গলগ্রহের উপযোগী করে বানাতে হয় তখন সেটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন অনেক বেশি আলাদা হয়ে যায়। অনেক বেশি কমপ্লেক্স হয়ে যায়।
তারা চান দেশে যদি বিজ্ঞান গবেষণার দ্বার আরো প্রসারিত হতো, তবে নির্ভিককে বাংলাদেশই পাঠাতে পারতো মঙ্গলে। সে জন্য সরকারি সমর্থন প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। ইন্টারপ্ল্যানেটার টিম লিডার খন্দকার শিহাবুল হক বলেন, আমাদের শুধু ড্রোন বানালেই হবে না, এটাকে মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছানো লাগবে। তার জন্য আমাদের দেশে এই রকম একটা কমিপিটিশনের আয়োজন করা যায়।
ড্রোন এর আগেও বানিয়েছেন এদেশের শিক্ষার্থীরা। তবে মঙ্গলে পাঠানোর মতো ড্রোন এবারই প্রথম। নির্ভীক বানানোর জ্ঞান কাজে লাগবে দেশের অন্যান্য সেক্টরেও।
ইন্টারপ্ল্যানেটার সদস্য নাফিজ ইমতিয়াজ বলেন, বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পায় ড্রোন বিভিন্ন সেক্টরের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের এ ড্রোন ডেভেলপ করে যেখানে বন্য হচ্ছে বা এগ্রিকালচারের জন্য বানানো যেতে পারে। তার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এর পৃষ্ঠপোষক হতে পারে। উদ্যোক্তারা চান দেশ এমন খুদে বিজ্ঞানীদের সমর্থন দিলে, মহাকাশ গবেষণার পাশাপাশি এগিয়ে যাবে দেশের প্রযুক্তি।
এমডব্লিউ/