আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমান নামিয়ে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনায় বেলারুশের ওপর এক গুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার (২৪ মে) এক জরুরি বৈঠকের পর এসব নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, বেলারুশের কোনো বিমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের এয়ারস্পেস বা আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি ইইউর আওতাভুক্ত কোনো দেশে বেলারুশের বিমান নামতেও পারবে না। পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন বিমান সংস্থাও আপাতত বেলারুশে কোনো বিমান চালাবে না। খবর রয়টার্স ও এএফপির।
এর আগে রবিবার (২৩ মে) একটি যাত্রীবাহী বিমানকে ঘুরিয়ে নিয়ে অবতরণ করতে বাধ্য করে। বিমানটিকে ঘুরিয়ে নিজেদের আকাশে রাখতে ও নামাতে রীতিমত ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়।
খবরে বলা হয়েছে, বিমানটি অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে উঠে পড়েন সেনা সদস্যরা। প্রথমে বোমা আতঙ্কের কারণে বিমানটি নামানো হয়েছে জানালেও পর বিমানে থাকা এক সাংবাদিক ও ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তার বান্ধবীকেও।
বিমান থেকে সেনাদের সঙ্গে নামার সময় সাংবাদিক রামান তার সহযাত্রীদের বলেছিলেন, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
রবিবারের এই ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়ে বেলারুশ সরকার। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে। একটি যাত্রীবাহী বিমানকে এমন হেনস্তা করে নামানোয় ক্ষুব্ধ হয় ইইউ। যার জেরেই দেশটির ওপর দেওয়া হলো এই নিষেধাজ্ঞা।
নিষেধাজ্ঞা জারির পর সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে জানাতে শুরু করেছে। আপাতত তাদের বেলারুশের বিমান বন্ধ থাকবে। বেলারুশের ওপর দিয়ে তাদের বিমান যাতায়াতও করবে না। লুফথানসা, কেএলএম সকলেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা দ্রুত সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন। ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের কোনো বিমান বেলারুশের ওপর দিয়ে যাবে না। যুক্তরাজ্যও একই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
বেলারুশ অবশ্য জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর ছিল, হামাস ওই বিমানটিতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে। বিমানে বোমা রাখা হয়েছে। যদিও হামাসের এক মুখপাত্র বেলারুশের এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
এ দিকে বেলারুশ প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারবিরোধী কোনো প্রতিবাদের লাইভ দেখানো যাবে না। দেশের সংবাদ সংস্থাগুলোকে নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে দেশের ভিতরেই। মনে করা হচ্ছে এই নির্দেশ অমান্যের কারণেই গ্রেপ্তার হয়েছেন রামান।
এনটি