আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের বাজারে আবার বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত হতে পারে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম অনেক বাড়তি। ওরা (আমদানিকারক) রমজানেই লিটার প্রতি ৫ টাকা দাম বাড়াতে চেয়েছিল। আমরা ঈদ ও করোনার কথা বিবেচনা করে তখন ২ টাকা বাড়িয়েছি। এখন আবার নতুন করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখছি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী মহোদয় (বাণিজ্যমন্ত্রী) ব্যবসায়ীদের ডেকেছেন।
সেখানে একটি সিদ্ধান্ত হবে।’ এর আগে রমজানে খোলা সয়াবিন তেল ১১৯, ১ লিটারের বোতল ১৪১ এবং ৫ লিটারের বোতল ৬৭০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।
তখন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে তেলের দাম দুই টাকা বাড়ানো হয়। সমিতি চেয়েছিল লিটারে ৫ টাকা সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েল অনুরোধে তিন টাকা ছাড় দেয় সমিতি।
তার আগ পর্যন্ত লিটারে ২১ টাকা বাড়ে পণ্যটির দাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় গত ডিসেম্বরে পণ্যটির দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সমিতি।
মন্ত্রণালয় ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের কাছ থেকে এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ চায়। ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ এবং আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে। এর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত ১৫ মার্চ লিটারপ্রতি আরো ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করে। তখন খোলা সয়াবিন তেলের খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬৬০ টাকা।
-এটি