আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। সোমবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে হালকা বাতাসও বইছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সতর্কতামূলক নানান পদক্ষেপ নিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে জেলার ৩১৬টি সাইক্লোন শেল্টার এবং আরও ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষের আশ্রয়ের জন্য।
এছাড়া তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য ৮৪ টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বরিশাল নদী বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা শাখার উপ-পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাতে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকাগামী ৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ রুটেও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্নিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে সতর্ক করার জন্য বিভাগীয় পর্যায় থেকে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জুম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা থেকে নিজ নিজ এলাকার মানুষকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সচেতন করতে মাইকিং করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে বিপৎসংকেত পাওয়ামাত্র মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারেন।
এনটি