ইকবাল হোসেন
গাজীপুর প্রতিনিধি>
স্বামী বাড়িতে নেই, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে টয়লেটে যান গৃহবধূ। এ সুযোগে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মুখোশধারী কয়েকজন দূর্বৃত্ত গৃহবধূর ঘরে লুকিয়ে থাকে।
গতকাল সোমবার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ শৈচকাজ শেষ করে ঘরে ঘুমিয়ে পরার সময় দূর্বুত্তরা গৃহবধূর হাত-পা মুখ চেপে ধরে, এসময় গৃহবধূ বাচার জন্য ধস্তাধস্তি করিলে তাকে মারধরও করে মুখোশধারীরা।
পরে গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে জোর করে নেশাজাত দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন।
পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে মাথায় পানি ঢেলে ও প্রাথমিক চিকিৎসার পরও জ্ঞান না ফেরায় তার স্বামী তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
মামলায় গৃহবধূর স্পর্শকাতর স্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় কামড়ে জখম করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ধস্তাধস্তির সময় মুখোশ খুলে যাওয়ায় রুবেল নামে একজনকে চিনতে পারে গৃহবধূ। রুবেল (৩৮) দক্ষিণ ভাংনাহাটী (ফালু মার্কেট) এলাকার মৃত কেচু মিয়ার ছেলে।
এঘটনায় (২৪ মে) রুবেলসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। এবিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন আওয়ার ইসলামকে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
-এটি