আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দেশজুড়ে হোয়াইট এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চলছে উদ্বেগ। এর মধ্যেই দেশটির চিকিৎসকদের নতুন করে চিন্তায় ফেলল ইয়েলো ফাঙ্গাস। সোমবার (২৪ মে) উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ শহরে ওই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ে প্রথম এক রোগীকে ভর্তি করানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাস থেকে আরও ভয়াবহ হতে পারে ইয়েলো ফাঙ্গাস।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত সংক্রমিতের ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব, ক্ষুধা না পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে রোগীর দেহে পুঁজ ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা গেছে। এছাড়া ক্ষত থাকলে তা না সারা বা শুকাতেও সময় লাগে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে চোখ বসে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দেয়। শেষমেশ সংক্রমিতের দেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পচন ধরে বলে জানা গেছে।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেহের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করে বলে চিকিৎসকরা একে ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাসের তুলনায় ক্ষতিকর বলে দাবি করছেন। এ ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করা উচিত বলে পরামর্শ দেন তারা।
চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যবিধিতে অবহেলা করলে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বাসি খাবার খাওয়া বা অত্যন্ত বেশি আর্দ্র পরিবেশে থাকলেও এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
সোমবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন পর্যন্ত মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৪ জন।
তিনি বলেছেন, ৫ হাজার ৪২৪ জন মিউকরমাইকোসিস রোগীর মধ্যে ৪ হাজার ৪৪৬ জনের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। অন্য দিকে এদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
এনটি