আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কভিড-১৯ মহামারির পর প্রথম বারের মতো এ বছর বিশ্বের ৬০ হাজার লোক হজ পালনের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।
গতকাল রোববার (২৩ মে) হজ বিষয়ক এক বিবৃতিতে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে মসজিদুল হারামের অফিসিয়াল টুইটারে এ খবর জানানো হয়।
বিবৃতিতে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠিতব্য হজে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৮-৬০ বছর বয়সী নাগরিকরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে করোনা মহামারির আগের সময়ের তুলনায় সীমিত সংখ্যক লোক এবারের হজে অংশ নেবেন।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, সৌদির বাইরের দেশ থেকে মাত্র ৪৫ হাজার লোক এ বছরের হজে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। আর সৌদি থেকে ১৫ হাজার হজ পালনের সুযোগ পাবেন। সর্বমোট ৬০ হাজার লোক হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
গত ১৭ মে থেকে হজ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করেছে। চলতি বছরের ১৭-২২ জুলাই মুসলিমদের সর্ববৃহৎ সম্মিলন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
হারামাইন শরিফাইনের এক টুইট বার্তায় বলা হয়, এ বছর কেবল ১৮-৬০ বছর বয়সী ৬০ হাজার লোক হজ পালনের সুযোগ পাবেন। তাঁদেরকে অবশ্যই সুস্থ-সবল হতে হবে। হজ সফরের আগের ছয় মাসে কোনো অসুস্থতার কারণে হাসাপাতালে থাকা যাবে না।
তাছাড়া এ বছরের হজে অংশগ্রহণকারীদেরকে অবশ্যই দুই ডোজ করোনা টিকা নিতে হবে। নিজ দেশের স্বাস্থ্যবিভাগ বা হাসপাতাল বা মন্ত্রণালয় প্রদত্ত করোনা টিকা গ্রহণের কার্ড দেখাতে হবে। সৌদির স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদিত করোনা টিকাগুলোর মধ্য থেকে টিকা গ্রহণ করতে হবে।
বিদেশী হজযাত্রীদেরকে তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। টিকার প্রথম ডোজ অবশ্য ঈদুল ফিতরের আগে নিতে হবে। এবং দ্বিতীয় ডোজ সৌদিতে পৌঁছার ১৪ দিন আগে নিতে হবে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি সর্বাত্মকভাবে অনুসরণ করতে হবে।
হারামাইন শরিফাইনের টুইটারে হাজিদের পালনীয় নির্দেশনাবলি উল্লেখ করা হয়েছে। হজের স্থানে পৌঁছার আগে, হোটেলে পৌঁছার পর, আরাফার প্রাঙ্গণ, মসজিদুল হারাম অবস্থানকালের হাজিদের পালনীয় করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
-এটি