আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনো ততটা শক্তিশালী হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান দিক ও গতিপথ যদি একই রকম থাকে তাহলে বাংলাদেশের উপকূলে আপাতত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।
সোমবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে এখন পর্যন্ত অনেকটা টেনশন মুক্ত রেখেছেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনো ততটা শক্তিশালী হতে পারেনি। বর্তমান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি। এটা ওড়িশা উপকূল থেকে ৫০০ কি.মি এবং বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৬০৫ কি.মি দূরে অবস্থান করছে। দিকটা উত্তর-পশ্চিমাংশে সরাসরি ওড়িশার দিকে। যদি এর গতিপথ একই রকম থাকে তাহলে বাংলাদেশের উপকূলে আপাতত ক্ষতিকর কোন প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, এটা ওড়িশাতে আঘাত করার পরে প্যারামিটারটা সাড়ে ৩০০ কি.মি এবং কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৪০০ কি.মি হবে। এর ডায়ামিটার ১৭৫ কি.মি যার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপটা সেইভাবে বাংলাদেশের উপরে আঘাত হানবে না। বাংলাদেশ দিয়ে হয়তো মেঘ এবং ঝড় হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের আবহাওয়া দপ্তর, মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোলরুম, মাঠ পর্যায়ে সবাই কঠিন পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোন কারণে দিক পরিবর্তন করে উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে আসে তাহলে সাথে সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে হবে। ইত্যেমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে সিপিবি ভলেন্টিয়ার জানিয়ে দিয়েছে সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য যাতে বিপদ সংকেত পাওয়া মাত্রই আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আল্লাহ যেভাবে রহমত করেছেন সেটা অব্যাহত থাকলে এবার ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পাবো। ঘূর্ণিঝড়টি এখন আছে সোজা পশ্চিম দিকে। আর বাংলাদেশের অবস্থান উত্তর-পূর্ব দিকে। এটা যদি কোন কারণে দিক পরিবর্তন করে এবং এটার গতিবেগ যদি বাড়ে আর যদি বাংলাদেশের উপকূলের নিকটবর্তী হয় তখনই আমরা একেবারে মহাবিপদ সংকেত দেবো। সংকেত এই মুহূর্তে ২ এর উপরে বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
-এএ