আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর গাজায় প্রথম দফায় মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হওয়া গাজায় ফিরে এসেছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্থাপণা পুনর্নিমাণ করতে অর্থাৎ সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে কয়েক বছর লেগে যাবে। এদিকে করিডোর তৈরি করে আহত লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
১১ দিন ধরে চলা সংঘাতে আড়াই শতাধিক মানুষ শহিদ হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই গাজার বাসিন্দা। যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে নিজেদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজা এবং ফিলিস্তিনের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষকে উদযাপন করতে দেখা যায়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করেন এবং বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এছাড়া এ সময় গাজার মসজিদ থেকে মাইকে আল্লাহর প্রশংসাসূচক বক্তব্যও শোনা যায়।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারাও যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর আনন্দে মেতে উঠেছেন। তবে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, আবারও সংঘাত শুরুর ঘটনা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ইসরায়েল কেরেম শালোম ক্রসিং পুনরায় খুলে দেয়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার মানবিক সহায়তা বহনকারী বেশ কিছু ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। গাজায় প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার এবং জ্বালানি পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
গত কয়েকদিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এক লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে। এদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, গাজায় প্রায় ৮ লাখ মানুষের কাছে পানি পৌঁছাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বলছেন, সবকিছু পুনর্নিমাণে কয়েক মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন।
গাজায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস। হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনে আহত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এনটি