সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

‘যশ’-এর ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর ক্ষয়ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি থেকে রক্ষা পেতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌ-বাহিনী কোস্টগার্ডসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনগণকে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, দিয়াশলাই ও ঝড়ের সময় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি রাখার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হকের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলাম, জেলার সব উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

বাগেরহাট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়, বাগেরহাট উপকূলীয় জেলা হওয়ায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে এজেলার মানুষ একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবাণী অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলী অতিক্রম করতে পারে। তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলার উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জসহ জেলায় ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলোও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। আসন্ন ঝড় মোকাবিলা করতে ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলী অতিক্রম করতে পারে। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে গতিবেগ কম হলেও ২৬ মে ভরা পূর্ণিমার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আর তা হলে উপকূলীয় এলাকার মানুষের বড় ধরনের ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ