আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগ এনে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রাখার ঘটনায় আলোচনায় আসা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার জহুরুল হক।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
জানা যায়, দুদকের গোয়েন্দা বিভাগ দেশজুড়ে আলোচিত অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছার অর্থ সম্পদের বিষয়ে গোপনে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে সোমবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম হেনস্তার শিকার হন। এ ঘটনায় নেপথ্যে নাম আসে কাজী জেবুন্নেছার। এরপর থেকে তার বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদের নানা বিষয় বেরিয়ে আসছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জেবুন্নেছার নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে বাড়ি-গাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি ও ব্যাংকের অর্থ প্রভৃতি তথ্য বের হতে থাকে। দুদকের কাছেও নানা মাধ্যম থেকে অভিযোগ আসছে বলে জানা যায়। এতে বলা হয়, জেবুন্নেছার নামে রাজধানীতে চারটি বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাজীপুরে ২১ বিঘা জমি, কানাডায় তিনটি বাড়ি, ও লন্ডনে একটি বাড়ি ছাড়াও শত কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। দুদক মনে করছে এসব অভিযোগের সত্যতা যাছাই করা দরকার। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে অনুসন্ধানে মাঠে নামবে দুদক টিম।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাকে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগ এনে ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনে মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
রোজিনাকে আটকে রাখার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা। ‘হেনস্তাকারী’ হিসেবে তার নাম উল্লেখের পাশাপাশি তাকেও ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
এনটি