আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।
এর আগে মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন আরও দুটি সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ ও ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে বিক্ষোভ হয়। খেলাফত মজলিসের ব্যানারে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর মিছিলটি পল্টনের নাইটেঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইহুদিবাদ নিপাত যাক’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পল্টন এলাকা। বিক্ষোভ সমাবেশে গাজায় হামলা নিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের নীরবতার নিন্দা জানানো হয়। জাতিসংঘ, ওআইসি আরব লীগ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতাকে ‘বোবা শয়তান’ বলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার।
আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের পুলিশের বাড়াবাড়ির পরিপ্রেক্ষিতে গাজা থেকে রকেট ছুড়ে উপত্যকার শাসক দল হামাস। গত ১০ মে থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। এতে রক্তপাত বন্ধে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিসরের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ। হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে ইসরায়েলের এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয় শুক্রবার থেকে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৬৫ শিশু ও হামাস যোদ্ধা রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে এক হাজার ৯০০ মানুষ। হামাসের হিসাব অনুযায়ী, বিমান হামলায় বিপুল জায়গা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাস ও সশস্ত্র অন্য সংগঠনগুলো ইসরায়েলের দিকে চার হাজার ৩০০-এর বেশি রকেট ছুড়েছে। এর বেশির ভাগই আটকে দিয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম। ইসরায়েলের পুলিশ জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া রকেটে ইহুদি রাষ্ট্রটিতে ১২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এ ছাড়া এক ভারতীয় ও থাইল্যান্ডের দুই নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন।
-এটি