আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে। ৩৪টির মধ্যে পাঁচটি রোহিঙ্গা শিবিরকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।’
আরআরআরসি কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে জানান, সম্প্রতি রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ঘোষিত লকডাউন সফল করতে আজ সকাল থেকেই পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে তৎপর রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। হাট-বাজার ছাড়া প্রায় সব দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।’
টেকনাফ পৌর শহরের কুলালপাড়ার বাসিন্দা জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে সবাই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। চলাচল সীমিত হয়েছে, দোকান-পাট বন্ধ। উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে সকাল থেকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘টেকনাফ থেকে কক্সবাজার বা উখিয়ায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। একইভাবে অন্য এলাকা থেকে আসাও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন। পণ্যবাহী ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলছে। সচেতনতা সৃষ্টিতে পুরো উপজেলায় ব্যাপকভাবে মাইকিং করা হয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হলো— এখানকার মানুষ করোনা সম্পর্কে উদাসীন।’
-এটি