বেলায়েত হুসাইন: এক দশকেরও বেশি সময় যাবত সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে ইসলাম ও ইসলাম পূর্ববর্তী বহু ঐতিহ্যের ধারক এই দেশটির বেশকিছু এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরী ও স্বাধীনভাবে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। তারপরও অসহ্য অত্যাচার ও লাঞ্চনা নিয়ে মাতৃভূমিতেই জীবন যাপন করছে অসংখ্য সিরীয় নাগরিক। তুরস্ক সীমান্ত ঘেঁষা ইদলিব প্রদেশ এমন-ই একটি অশান্ত সিরীয় ভূখণ্ড।
এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ, যাদের মধ্যে সরকারি হিসেবে ১০ লাখই শিশু। পবিত্র ঈদুল ফিতর অতিবাহিত হলেও এখানের বেশিরভাগ শিশু ঈদের খুশি থেকে প্রায় বঞ্চিত। এই পরিস্থিতিতে তাদের মুখে কিঞ্চিৎ হাসি ফোটাতে কাজ করেছে বেশকিছু দাতব্য সংগঠন। ইদলিবে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের অস্থায়ী বাড়ি ও তাবু থেকে পুরনো ও ছেঁড়া কাপড়গুলো সংগ্রহের পর সেগুলো সেলাই ও মেরামত করে আবার পৌঁছে দিয়েছে তারা। যাতে করে এখানের কোমলমতি শিশুদের জীর্ণ পোশাকে ঈদ করতে না হয়।
আনাদুলু এজেন্সি জানায়, দাতব্য সংস্থার অধীনে কাপড় সেলাই ও মেরামতে কাজ করেছে স্থানীয় নারীরাই। শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে তাদের উদ্যোগেই এ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। ইদলিবের শরণার্থী শিবিরের তুলনামূলক স্বচ্ছল পরিবারও নিজেদের শিশুদের পুরোনো পোশাক দান করে এ কাজে অংশ নিয়েছে।
এ কার্যক্রমের একজন সদস্য মারইয়াম জুলবি বলেন, বাসার আল আসাদ সরকারের ধারাবাহিক নির্যাতন থেকে ইদলিবে আশ্রিত অসহায় পরিবারের মনোকষ্ট দূরীকরণে আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করছি। ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ঈদের পোশাক সেলাই ও মেরামতে আমাদের আর্থিক কোন লাভ নেই; বরং ঈদে শিশুদের খুশিকরাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। তিনি জানান, ঈদের আগেই শিশুদের মাঝে সেলাইকৃত ও মেরামতকরা পোশাক বিতরণ শেষ হয়। সূত্র: ইয়েনি শাফাক
এমডব্লিউ/