আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শতভাগ কারখানা বেতন-বোনাস বুধবারের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে এ খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
এছাড়া মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ সদস্য কারখানা পোশাক শ্রমিকের বেতন এবং ৯৯ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বিজিএমইয়ের সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি জানান, ৬৮টি কারখানায় নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ নিশ্চিত করা হয়েছে।
অবশ্য সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, বিজিএমইএর এ বক্তব্য সঠিক নয়। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক কারখানা পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করেছে। তবে কতটি কারখানা বা সেগুলো কোনো সংঠনের সদস্য কি-না এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
শ্রমিকদের ছুটি ইস্যুতে সৃষ্ট অসন্তোষকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, 'করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, সেজন্য সরকারের নির্দেশনা মেনে আমরা তিন দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু কারখানায় অসন্তোষ হয়েছে।'
এ সময় শ্রম আইনে ছুটি সংক্রান্ত বিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ছুটি কম দেওয়া হয়নি। বরং সমন্বয় করা হয়েছে। কিছুক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে বেশি ছুটিও দেওয়া হয়েছে।' আলোচনার মাধ্যমে ছুটি সংক্রান্ত বিরোধ এড়িয়ে চলতে অনুরোধ জানান তিনি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পোশাকখাতের বিদ্যমান সংকট তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, 'কারখানাগুলো বর্তমানে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে। এখন ব্যয়ের চেয়েও কম মূল্যে ক্রয়াদেশ নিতে হচ্ছে।' এ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে নীতি সহায়তা চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ'র সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, পরিচালক ভিদিয়া অমৃত খান প্রমুখ।
এনটি