মোস্তফা ওয়াদুদ।।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক>
আবারো গ্রন্থাগার মন্ত্রী হলেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ও দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য জমিয়ত নেতা ও মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইনজামামুল হক।
করোনা পরিস্থিতিতে মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে শেষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নতুন মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সোমবার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
এরপর একসাথে শপথ নেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীরা। সব শেষে একসাথে শপথ নেন প্রতিমন্ত্রীরা। রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে, করোনার বিধিনিষেধের কারণে আলাদা করে নয়, এক সাথে সবার শপথ হয়েছে।
পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করে টিভি চ্যানেল নিউজ১৮ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে যারা থাকে তারা চ্যালেঞ্জ নিয়ে চলতে ভালোবাসে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে জিতলে সে জেতায় তার অনন্য আছে। চ্যানেঞ্জ বাদ দিয়ে যে জেতে সে জেতায় অনন্য থাকে না। আমরা এ কারণে বেশি আনন্দিত যে বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করেছে। কংগ্রেস সিপিএম তাদের অজ্ঞতার কারণে একেবারে শুন্য হাতে দাঁড়িয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন বাংলায় শান্তি জারী রাখবেন। আমরা বাংলায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছি এবং করব।
তিনি বলেন, আমি খুশি ও আনন্দিত যে, তিনি আমাকে কেবিনেটে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী করেছেন। একটু পরেই দপ্তর বণ্টনের বিষয়ে তিনি বক্তব্য রাখবেন। সেখানে আমরা যাব।
তিনি বলেন, আমরা কাজ করার মানুষ যে দপ্তরই পাই না কেন; আস্থা রেখে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। এদেশের মানুষ যারা ভোট দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতার্থ ও কৃতজ্ঞ যে, তারা ভোট দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাকে জিতিয়েছেন। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি। আমার কাজ মানুষ দেখেছে। যে দপ্তরই পাবো, আশা রাখি ভালো কাজ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
এর আগে টানা তিনবারের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মমতার খুব কাছের পরীক্ষিত নেতা। তিনি ভারতের মঙ্গলকোট বিধানসভা আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করলেন।
মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি ভারতীয় মুসলিমদের জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (এআইটিসি) সদস্য। ভারতে জমিয়ত সরাসরি রাজনীতি ও নির্বাচন করে না। তবে জমিয়ত নেতারা নিজ সংগঠনের অনুমোদন সাপেক্ষে বিভিন্ন দলে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ জমিয়ত নির্বাচনী জোট গড়েন।
ব্যক্তিগত জীবনে সাদামাটা জীবনের অধিকারী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। সত্য কথা বলতে দ্বিধা করেন না। রাজনীতিবিদ হলেও রাজনীতির মারপ্যাচে তিনি নেই। তার চিন্তায় শুধু মানুষের কল্যাণ। প্রায় পাঁচ বছর মন্ত্রী হিসেবে কাটিয়েছেন, কিন্তু তার আচার-আচরণে এর কোনো প্রভাব দেখা মেলে না। ফন্দি-ফিকির করে দলের ফান্ড বাড়ানোর চেষ্টা করেননি। নিজেও অনৈতিক কোনো সুবধিা নিয়ে সম্পদ গড়েননি।
এনটি