শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প

কোরআনের প্রথম শিক্ষা আল্লাহর কাছে হেদায়েত প্রার্থনা করা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: শাইখ মানসুর আস সালিমি
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান

কোরআনের প্রথম দোয়া হলো, হে আল্লাহ আপনি আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন (সুরা ফাতেহা, আয়াত ৪)। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার কাছে হেদায়েত লাভের জন্য প্রার্থনা করা। আসমান থেকে নাযিলকৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা এই দোয়া করা শিখিয়ে দিয়েছেন।

কারণ আল্লাহ তায়ালার কাছে হেদায়েত কামনা করা সবচেয়ে উত্তম, উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আল্লাহ তায়ালা এই সুরাকে নামাজের প্রতি রাকায়াতে পড়ার জন্য নির্বাচন করেছেন। আর বান্দার হৃদয় যতই পরিশুদ্ধ হোক না কেন তারপরও তার পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে গভীর জ্ঞানের অধিকারীদের দোয়ার ব্যাপারে জানিয়েছেন। তাদের দোয়া ছিল, হে আমাদের প্রভু আপনি আমাদেরকে হেদায়েত দান করার পর আমাদের হৃদয়কে বক্র করে দিবেননা। আর আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের উপর রহমত নাযিল করুন। আপনি বড়ই দানশীল (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৮)।

গভীর জ্ঞানের অধিকারী আহলে ইলমরাই যখন হেদায়েতের পর গোমরাহ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভয় পেয়েছেন তখন আমাদের মতো সাধারণদের তো আরও বেশি ভয় করা উচিত। আপনি হজরত ইবরাহীম আ. এর দোয়ার ব্যাপারে ভাবুন। ফেতনা থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে তার মতো নবীর চেয়ে বড় আর কে আছে পৃথিবীতে? অথচ তিনি দোয়া করেছিলেন, (হে প্রভু) আপনি আমাকে ও আমার বংশধরকে মূর্তিপূজা থেকে হেফাজত করুন (সুরা ইবরাহীম, আয়াত ৩৫)।

হজরত উমর রা. একবার এক ব্যক্তিকে এই বলে দোয়া করতে শুনলেন, হে আল্লাহ আপনি যেমন বান্দা এবং বান্দার হৃদয়ের মাঝখানে অবস্থান করেন ঠিক তেমনি আপনি আমার এবং পাপের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যান। এই দোয়া হজরত উমর রা. এর পছন্দ হলো। তিনি সেই ব্যক্তিকে বললেন এরচেয়েও উত্তম দোয়া ছিল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের। তাঁর দোয়া ছিল, হে আল্লাহ আপনি আপনার ব্যাপারে আমার হৃদয়ে এমন ভীতি সৃষ্টি করুন যা আমার এবং আমার গুনাহের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যায়। আপনি আপনার নিজের জন্য, পরিবার-পরিজন এবং সন্তানসন্ততির জন্য দোয়ার চেয়ে উপকারী কিছু খুঁজে পাবেননা।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুরা আলে ইমরানে দোয়া শিখিয়ে দিচ্ছেন, হে আমাদের প্রভু আপনি আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের থেকে চোখের শীতলতা দান করুন এবং আর আপনি আমাদের খোদাভীরুদের অনুসরণীয় বানিয়ে দিন। সুতরাং আপনি যদি চান যে মানুষ যেসব ব্যাপারে ইখতেলাফে নিমজ্জিত রয়েছে সেসবের ক্ষেত্রে আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথে পরিচালনা করুক, তাহলে আপনি সেই দোয়াকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নিন যা দিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের নামাজ শুরু করতেন।

তাঁর দোয়া ছিল, হে আল্লাহ, জিবরাইল, মিকাইল ও ইসরাফিলের প্রভু, আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা এবং অদৃশ্য ও দৃশ্যমানের ব্যাপারে সকল বিষয়ে অবগত, আপনিই মানুষের সেসব বিষয়ে ফয়সালা করেন যেসব বিষয়ে তারা ইখতেলাফে ডুবে আছে। আপনি আমাকে মতানৈক্যপূর্ণ বিষয়ে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। নিশ্চয় আপনি যাকে খুশি সঠিক পথ প্রদর্শন করে থাকেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি রাতে করা এই দোয়া কখনো ভুলবেননা। আপনি আমাকে মতানৈক্যপূর্ণ বিষয়ে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। নিশ্চয় আপনি যাকে খুশি সঠিক পথ প্রদর্শন করে থাকেন। যে ব্যক্তিকে মন থেকে এই দোয়া করবে আল্লাহ তাকে হেদায়েতের মাধ্যমে সম্মানিত করবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ