মুফতী সুহাইল আবদুল কাইয়ূম।।
রোজা রাখার জন্য নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরী নয়। নিয়ত বলা হয় অন্তরের ইচ্ছাকে। রোযার নিয়ত করা ফরয। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরী নয়, তবে উত্তম। যারা আরবী জানে না তাদের জন্য বাংলাতেই নিয়ত করা উত্তম। অন্তরে রোযার ইচ্ছার সাথে সাথে মুখে এভাবে বলবে,‘আমি আগামীকাল রোযা রাখার নিয়্যাত করলাম’।
নিয়্যাত কখন করা আবশ্যক
রমযানের রোযার নিয়ত রাতে করা উত্তম। যদি কেউ রাতে নিয়্যাত না করে তাহলে মধ্য আকাশ থেকে সূর্য পশ্চিমে ঢলার দেড় ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করা যাবে। তবে শর্ত হলো, সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়তের পূর্ব পর্যন্ত রোযার পরিপন্থী কোনো কাজ না করতে হবে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫, রদ্দুল মুহতার : ৩/৩৪১।
রোযা রাখার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলে নিয়ত হয়ে যাবে
রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলে সেটাই নিয়তের জন্য যথেষ্ট হবে। উল্লেখ্য, রাতে রোযার নিয়ত করার পর সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি করা জায়েয আছে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫, রদ্দুল মুহতার : ৩/৩৪১।
পুরো রমযানের জন্য একত্রে নিয়্যাত করা যথেষ্ট নয়
পুরো রমযানের জন্য একত্রে নিয়ত করা যথেষ্ট নয়। বরং প্রত্যেক রোযার জন্য পৃৃথকভাবে নিয়ত করতে হবে। কেননা প্রতিটি রোযা ভিন্ন ভিন্ন আমল।
-বাদায়িউস সানায়ে : ২/২২৮, রদ্দুল মুহতার : ৩/৩৪৪।
লেখক: শিক্ষাসচিব ও নায়েবে মুফতী জামিআ ইসলামিয়া ঢাকা।