মোস্তফা ওয়াদুদ: তাকমিল পরীক্ষার বাকি মাত্র কয়েকদিন। বলা যেতে পারে নাকের ডগায় চলে এসেছে পরীক্ষার ক্ষণ। কিন্তু এখনো প্রকাশিত হয়নি পরীক্ষার রুটিন। এ নিয়ে সারাদেশের পরীক্ষার্থীরা চিন্তিত। তাদের চিন্তার রেখায় ভাঁজ পড়ছে এবার। জানা গেলো পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত না হওয়ার কারণ। সবকিছু ছাপিয়ে বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে জানালেন কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা অথরিটি কর্তৃপক্ষ।
আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অফিস সম্পাদক মাওলানা অসিউর রহমান আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে প্রকাশিত হবে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষার রুটিন। আজ আওয়ার ইসলামের সাথে এক ফোনালাপে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা অসিউর রহমান বলেন, একটি বিশেষ কারণে আমাদের রুটিন প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। আমাদের পরীক্ষার ঘোষণা হয়েছে আগামী ৩০ মার্চ ২০২১ ঈসায়ী। ৩০ মার্চ যদি আরবি ১৫ শাবান হয় তাহলে সেদিন সারাদেশে শবেবরাত পালিত হবে। আর আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্রের অধিকাংশ নেগরান বা পরীক্ষার মুমতাহিনগণ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম কিংবা খতিব। শবে বরাতে মসজিদের বিভিন্ন আয়োজন থাকে। আর সে আয়োজনে তাদের অংশ নেওয়া কিংবা উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরী। আর যদি ১৪ সাবান হয় ৩০ মার্চ। তাহলে পরীক্ষা শুরু হয় বুধবারে। এখন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুটি শুক্রবার আসে। পরীক্ষকগণ যেহেতু বিভিন্ন মসজিদের খতিব। দূর দূরান্ত থেকে জুমার নামাজ পড়াতে মসজিদে আসতে তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে। সুতরাং তাদের কথা বিবেচনা করেই আমরা এখনো পর্যন্ত রুটিন প্রকাশ করছি না।
মাওলানা অসিউর রহমান আরও জানান, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পেছাতেও পারে পরীক্ষার সময়সূচি। তাই চূড়ান্ত ঘোষণা আমরা এখনি দিতে পারছি না। শাবানের চাঁদ দেখা পর্যন্ত (পাঁচদিন) অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে সারাদেশে আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধীনে প্রায় ২০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেবে বলে জানা গেছে। করোনার ভাইরাসের কারণে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি গত বছরের দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা। কিন্তু এবছর রুটিন প্রকাশের পর যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিছেন অফিস সম্পাদক মাওলানা অসিউর রহমান।
এমডব্লিউ/