আওয়ার ইসলাম: জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) তোলো রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় মিয়ানমার আপত্তি তুলেছে।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং দেশটির বেসামরিক নেতাদের আটক করার দুই সপ্তাহ আগেই ২০ জানুয়ারি বিচারিক কর্মকাণ্ড একবছরের জন্য পিছিয়ে দিতে আবেদন করা হয়েছে। গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর যে মামলা করেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ বলতে এমন এক জরুরি পদক্ষেপকে বোঝানো হচ্ছে, যা মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। এই মামলার চূড়ান্ত রায় হতে বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে। এই সময়কালে যাতে রোহিঙ্গারা নতুন করে নির্যাতনের শিকার না হয়, তা এই অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ মুসলিম রোহিঙ্গা নির্যাতনের গণহত্যার অভিযোগে আইসিজের কাছে প্রাথমিক আপত্তি দায়ের করার পরে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই মামলাটি গাম্বিয়া ২০১৯ সালে করেছিল কারণ ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি বর্বর সামরিক সন্ত্রাস সংঘটিত করার পরে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য করেছিল। ২০২১ সালে ২০ জানুয়ারি মিয়ানমারের সরকার আদালতের এখতিয়ার এবং আবেদনের স্বীকৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক আপত্তি দায়ের করে।
দায়ের করা আপত্তির প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি, তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তারা এই মামলার শুনানি করার আদালতের এখতিয়ার রয়েছে কিনা এবং গাম্বিয়া মামলা আনার উপযুক্ত অবস্থান রয়েছে কিনা তা অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
-এটি