যাকওয়ানুল হক চৌধুরী: অভাব দূর হচ্ছে না, সব সময় টান পুড়ান লেগে থাকে। টাকা শুন্য পকেট মানে হলো বিষাদে মন, ভালো কিছু করতেও খারাপ লাগে, মেজাজ কর্কষ হয়ে যায়। যারা সাংসারিক; তাদের ভেতরের অবস্থা আরো খারাপ থাকে। কাউকে বলেও বুঝানো যাবে না।
প্রতিদিন মাত্র পাঁচ মিনিট সময় দিন। ইনশাআল্লাহ, পূর্ণ ঈমান-একিনের সাথে নিয়মিত আমল করলে অভাব থাকবে না। আমি নিজে এর ভালো ফলাফলের সাক্ষী। ফায়দা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। এমন জায়গা থেকে আপনার প্রয়োজন পুরণ হবে; আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. এর মৃত্যুর সময়ের ঘটনা, তিনি যখন অসুস্থ হলেন(আর এ রোগেই তাঁর মৃত্যু হয়), তখন হযরত উসমান রাযি. তাঁর নিকট আগমন করে জিজ্ঞেস করেন,
আপনার কি কষ্ট?
তিনি বললেন- আমার গুনাহ(অর্থাৎ গুনাহের চিন্তাই কষ্টের কারণ)
ওসমান রাযি. পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন- কোনকিছুর আকাঙ্ক্ষা আছে?
তিনি বললেন- শুধু আমার প্রতিপালকের রহমতের।
ওসমান রাযি. প্রশ্ন করলেন- আপনার জন্য কোন চিকিৎসাের ব্যবস্থা করবো কি?
তিনি জবাব দিলেন- চিকিৎসক নিজেই তো আমাকে অসুস্থ করেছেন।
হযরত ওসমান রাযি. পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন- আপনার জন্য কিছু অর্থ-সম্পদের ব্যবস্থা করবো কি?
তিনি জবাব দিলেন- এর আমার কেন প্রয়েজন নাই।
ওসমান রাযি. বললেন- আপনার পরে অর্থ-সম্পদ আপনার কন্যাগণের কাজে লাগবে।
তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বললেন-
আপনি কি আমার কন্যাদের অভাবগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করেন, অথচ আমি তাদেরকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, তারা যেন প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়াহ তেলাওয়াত করে। কারণ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট শ্রবণ করেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক সূরা ওয়াকেয়াহ তেলাওয়াত করে, সে কখনো অভাবগ্রস্থ হবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, হুজুর সা. এরশাদ করেছেন- তোমরা সূরা ওয়াকেয়াহ পাঠ করো, এবং তোমাদের সন্তানদের তা শেখাও। এটি হলো "সুরাতুল গেনা"(প্রাচুর্যের সূরা)।
তাফসিরে নূরুল কোনআনে আছে- যদি কোন ব্যক্তি একই মজলিসে ৪১বার সূরা ওয়াকেয়াহ পাঠ করে, তবে তার আর্থিক প্রয়োজনের আয়োজন হবে।
এতো কেবল দুনিয়াবি বড় একটি ফজিলতের বর্ণনা দেয়া হলো, আরো কত ফায়দা রয়েছে। রয়েছে আখেরাতে কত পুরষ্কার, সওয়াব।
সূরা ওয়াকেয়াহ, খুব লম্বা কোন সূরা নয়, পৃষ্ঠার হিসেব করলে মাত্র ৩পৃষ্ঠা। আর ছোট ছোট আয়াতে মাত্র ৯৬আয়াত। পড়তে লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয় না। যাদের মুখস্থ, তারা মসজিদ থেকে ঘরে যেতে যেতে পরে নিতে পারবেন। তা ছাড়া, সবারই এখন স্মার্টফোন আছে, একটা কোরআন শরিফের এ্যাপস রাখতে পারি। কাজে আসবে, ফায়দা থেকে খালি যাবো না ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাকে আপনাকে আমল করার তওফিক দান করুন।
-কেএল