করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে একটি মোটা দাগের কথা হলো ইসলামে করোনার টিকা নিতে মোটেও নিষেধ করে না। জনগণ নির্ভয়ে করোনার টিকা নিতে পারেন। বিজ্ঞ আলেমরা জনগণকে করোনার টিকা নিতে উৎসাহিত করছেন। কেননা করোনার টিকা যারা অনুমোদন দিয়েছেন, তারা জেনে শুনে ও গবেষণা করেই করোনার টিকা অনুমোদন করেছেন। তারা বিজ্ঞ ডাক্তার। তাই সব ভয় কাটিয়ে টিকা নিতে পারে জনগণ। কথাগুলো বলছেন দেশের বিজ্ঞ আলেমগণ। দেশের খ্যাতনামা এসব বিজ্ঞ আলেমদের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের নিউজরুম এডিটর মোস্তফা ওয়াদুদ। আজকের এ পর্বে থাকছে জামিয়া ইকরা বাংলাদেশ এর মুহতামিম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এর মন্তব্য।
দেশের বিজ্ঞ আলেম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ করোনার ভ্যকসিন বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনার ভ্যাকসিনে কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে যদি হারাম কোনো কিছু ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে এর ব্যবহারে আলেমদের ফতোয়া লাগবে।
তিনি বলেন, যদিও চিকিৎসার ক্ষেত্রে হালাল জিনিস পাওয়া না গেলে হারাম জিনিসের অনুমোদন দেয় শরিয়ত। কিন্তু কোনো চিকিৎসার ঔষধ হালাল জিনিসের দ্বারা করা যাবে না; এমন নিশ্চয়তা কোনো বিজ্ঞ ডাক্তার থেকে নিতে হবে। আর যে কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে শরীয়ত কখনো নিষেধ করে না। বরং রোগ হলে চিকিৎসা নেয়া আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত।
সুতরাং করোনার প্রতিষেধক হিসেবে আবিস্কৃত করোনার টিকা নেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। তাই দেশের জনগণ নির্ভয়ে টিকা নিতে পারেন। কেননা ভ্যাকসিন যারা তৈরি করেছেন তারা অনেক গবেষণা ও রিসার্চ করার পরেই ভ্যাকসিন বাজারে ছেড়েছেন। করোনার প্রতিষেধক হিসেবেই ডাক্তাররা এটাকে অনুমোদন দিয়েছেন।
ইসলামেও রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে বলা হয়েছে। সুতরাং সাধারণ জনতার ছড়ানো গুজবে কান না দিয়ে ভ্যাকসিন নেয়াটাই জরুরি বলে মনে করছি। আর ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে এটা কোন জায়গার ভ্যকসিন সেদিকে তাকানোর প্রয়োজনবোধ মনে করছি না। ভারতের ভ্যাকসিন যদি করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে তাহলে এর দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া তো নাজায়েজের কিছু নেই। সুতরাং শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়িয়ে জনমনে ভীতি ছড়ানোর মানে হয় না।
এমডব্লিউ/