আওয়ার ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ বারিধারাস্থ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল (১৮ জানুয়ারি) সোমবার বাদ এশা বারিধারা আল-কাসিম মিলনায়তনে ফয়সাল আনসারী ও মুহাম্মদ সালমান এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা হওয়ার দুইটা প্রেক্ষাপট ছিলো।
১. দেশের স্বাধীনতার হেফাজত। ২. দ্বীনের হেফাজত। এই দুইটা মিশন নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন দেওবন্দের আকাবিরে উলামায়ে কেরাম।
মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী আরও বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. শায়খুল হিন্দের চিন্তা চেতনা, হোসাইন আহমদ মাদনি রহ. এর চিন্তা চেতনা, এরও আগে রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, কাসেম নানুতুবি, হাজী আবেদ হোসাইন, হজরত মাওলানা ফজলুর রহমান রহ. এর চিন্তা চেতনাকে লালন করেছেন এবং সবসময় ফিকির করেছেন কিভাবে মানুষের মাঝে ওয়ালিউল্লাহি ফিকিরকে আম করা যায়।
আর এই ফিকিরকে কার্যত পাঁচটা ভাগ করে গেছেন আমাদের আকাবিররা। সব ভাগে বিশ নাম্বার দিয়ে একশ নাম্বার পুরা করছেন। শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রহ.) এর বাতলানো পাঁছটি ফিকিরের প্রত্যেকটাতেই ফুল নাম্বারে পাশ করেছেন আল্লামা কাসেমী রহ.। এইজন্যই আল্লাহ উনাকে দুনিয়াতে চমকিয়ে দিয়েছেন। যার বাস্তব সাক্ষী হলো তার জানাযা।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের অর্থ সম্পাদক মুফতী জাকির হোসাইন কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা মুনির আহমদ, বরিশাল জেলা জমিয়ত নেতা মাওলানা আবু সালেহ, কুমিল্লা জেলা জমিয়ত নেতা মাওলানা হাবিবুল্লাহ ইসলামপুরী প্রমুখ।
এমডব্লিউ/