আওয়ার ইসলাম: ঢাকার চকবাজার ইসলামবাগ বড় মসজিদের খতীব শাইখুল হাদীস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, মুমিনের জীবনে ঈমানী পরীক্ষা আসাটাই স্বাভাবিক। ঈমানের মৌখিক দাবীটুকুই যথেষ্ট নয় বরং কার ভেতরে কতটুকু ঈমান আছে এবং ঈমানদার হওয়ার দাবীতে কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী এটা বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা যাচাই করবেন এটাই তো যুক্তিসঙ্গত।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) জুমার বয়ানে আরও বলেন, সৃষ্টি হয়ে আমরা যদি প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী ক্রয় করার ক্ষেত্রে খাঁটি-অখাঁটি যাচাই করার বিভিন্ন নীতি অবলম্বন করতে পারি; তাহলে স্রষ্টা হয়ে আল্লাহ কেন ঈমানের দাবীতে সত্য-মিথ্যা যাচাই করবেন না? হাদীসের ভাষায় যে যত বড় সৎকর্মশীল হবে তাকে তত বেশী ঈমানের পরীক্ষা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যেহেতু নবীগণের চেয়ে বড় সৎকর্মশীল আর কেউ নেই তাই তাদেরকেই সবচয়ে বেশী কঠিন থেকে কঠিন ঈমানী পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর এই পরীক্ষাগুলো তিন প্রকারে বিভক্ত। এক. আল্লাহর হুকুম-আহকাম মান্য করার মাধ্যমে। দুই. রোগ ও কষ্টে পতিত হওয়ার মাধ্যমে। তিন. কাফের-মুশরিকদের থেকে আসা নির্যাতন-নীপিড়নের মাধ্যমে। সুতরাং শুধু মৌখিকভাবে দাবী করেই খাঁটি ঈমানদার হতে চাওয়া হাস্যকর।’
সূরা আনকাবূতের শুরুতেই আল্লাহ তায়ালা বলেন, মানুষ কি ভেবেছে যে, তারা বলবে আমরা ঈমান এনেছি অথচ তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা? এরকম পরীক্ষা আমি পূর্ববর্তীদের থেকেও নিয়েছি।
-এএ