লাবীব হুমায়দী: আল্লাহ তা'আলা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই পৃথিবীর বুকে প্রেরণ করেছেন বিশ্বমানবতাকে ইহকালীন ও পরকালীন নাজাতের পথ প্রদর্শনের জন্য। জাহেলি যুগ ও সমগ্রজাতির পথহারা মানুষগুলোর নৈতিকতা, চরিত্রিকতা ও চিন্তা-চেতনা বিবর্তনের জন্য। তাদের রাহাজানি, খুন-খারাবি, নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় এবং সামাজিক অধঃপতন থেকে চির মুক্তির পথে পরিচালিত করার জন্য।
আল্লাহর পক্ষ থেকে অর্পিত রিসালাতের দায়িত্ব তিনি যথাযথ আদায় করেছেন এবং তাতে পূর্ণতা দিয়েছেন।পথভোলা মানুষগুলোর মন-মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনার দিগন্তে তিনি ঐশী আভার স্বচ্ছতা ও পবিত্রতা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। আর তাঁর আনীত কুরআনে কারীম ও প্রদর্শিত সুন্নাহ সত্যিই বর্বর মানবতাকে হিদায়েতের আলোকোদ্ভাসে উদ্ভাসিত করেছিলো। ফলে আরবের রাহজানগুলো সমগ্রবিশ্বের রাহবারে পরিণত হয়েছিল। বিপন্ন মানবতা চির উদ্ভাসিত হয়েছিলো।
দল-মত নির্বিশেষে সকলেই মেনে নিয়েছে যে, বাস্তবেই তিনি ছিলেন আলোর দিক-দিশারী, সকল গুণের আধার ও সর্বোত্তম আদর্শের দীপাধার। তাই আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের উদ্দেশ্যে বলেছেন_ 'নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ'।(সূরা আহযাব:২১)
সামগ্রিকভাবেই কিয়ামত অবধি ব্যক্তি জীবন থেকে আন্তর্জাতিক সকল অঙ্গনেই তাঁর অনুপম আদর্শেই রয়েছে বিশ্বমানবতার শান্তি ও মুক্তি। তাই আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে আন্তর্জাতিক সকল অঙ্গনেই হুজুরের আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে।তাঁর মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নিজেদের সফল হতে হবে।
বিষয়টি ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ. এভাবে তাঁর লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন- ‘উভয় জাহানের সফলতা হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের মাঝেই নিহিত। তাই প্রত্যেক সফলকামী ও মুক্তিকামীর কর্তব্য হচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে হুজুরের আদর্শ ও দিকনির্দেশনা জেনে তাঁর অনুগামীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া’।
-কেএল