জহিরুল ইসলাম হোসাইনী
আসছে নতুন বছর। প্রিয় একটি বছরের বিদায়ে স্বাগত জানাবো তাকে। তবে সে স্বাগত যদি হয় পাপাচার ও নাফরমানির মধ্য দিয়ে তা জীবনে কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।
দেশে থার্টি ফার্স্ট নাইট পশ্চিমাদের থেকে আমদানি করেছে কথিত বুদ্ধিজীবী সমপ্রদায়। সচেতন মানুষজন বলে থাকেন, একটি শালীন সমাজের বুনিয়াদ গড়ার পরিবর্তে অশ্লীলতার ভাগাড় সৃষ্টি করতেই উৎসাহী। এরা একদিকে পহেলা বৈশাখের মাহাত্ম্য প্রচার করেন অন্যদিকে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনের উসকানী দিয়ে থাকেন। যে উদযাপনে যুবক শ্রেণি মাদকে ডুবে থাকে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, তারাই আবার যুবশ্রেণীকে উপদেশ দেন ‘মাদক, সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতনকে না বলুন’। খুব জানতে ইচ্ছে করে, উচ্ছৃঙ্খলা ও পাপাচারের অসংখ্য উপলক্ষ তৈরি করে মাদক, সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতন বন্ধ করা কি কোনোভাবেই সম্ভব? নাকি এটা শুধু বলতে হবে তাই বলা হচ্ছে!
একজন সাধারণ রুচিশীল মানুষও থার্টি ফার্স্ট নাইটের এই নোংরামি সমর্থন করতে পারেন না। এই ধরনের পাপাচার বন্ধ করতে সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের অবশ্যকর্তব্য। আর একটি মুসলিম দেশের অভিভাবক হিসেবে দেশের সরকারের কর্তব্য এই ধরনের চরিত্রবিধ্বংসী বিজাতীয় উৎসব কঠোরহস্তে দমন করা।
সরকারকে শুকরিয়া, এবছর এ বেহায়াপনামূলক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদি এটি করোনার কারণে করেছে। তবে আশা করবো ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রিয় বাংলাদেশে বিজাতীয় এ কালচার আর কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিবে না সরকার।
-কেএল