খাদিজা ইসলাম।।
বাঙালীর লোক ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ। সাধারণত পিঠা শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত। মুখরোচক খাদ্য হিসেবে বাঙালী সমাজে বিশেষ আদরণীয়। এছাড়াও, আত্মীয়-স্বজন ও মানুষে-মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরো দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব সবিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে শীত এসে গেছে। শীতে পিঠাপুলির ধুম পড়ে। শীতের রাতে চুলার পাশে গোল করে সবাই বসে পিঠা বানাতে। চুলার স্পর্শে ঠান্ডা শরীর গরম হয়ে ওঠে। ঘুম থেকে উঠেই পিঠা খেতে বসে যায় ছোট্ট ছেলেমেয়েরা। ঘুম চোখেই নেয় পিঠার লোভনীয় ঘ্রাণ। খাবার ভুলে পিঠা খেতে বসে তারা।
শীতে অঞ্চলভেদে ক্ষীরপুলি, চন্দ্রপুলি, পোয়া পিঠা, ভাপা পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, আস্কে পিঠা, চাঁদ পাকন পিঠা, সুন্দরী পাকন, সর ভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, লবঙ্গ লতিকা, নকশি পিঠাসহ অনেক পিঠা বানানো হয়।
কিছু পিঠা পুরো বাংলাদেশেই খাওয়া হয়। আবার কিছু পিঠা নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে খুব কম খাওয়া হয়। সিলেটে চুঙ্গি পিঠা, বিক্রমপুরে বিবিখান পিঠা বেশ প্রশিদ্ধ। বাঙালীর সাথে সবসময় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকবে পিঠাপুলি। পিঠার এ স্বাদ ভুলার নয়।
শিক্ষার্থী: অনার্স ২য় বর্ষ, বাংলা, সরকারী তিতুমীর কলেজ।
-এএ