কাউসার লাবীব: বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎপাদনকারী অঞ্চল এবং সর্ববৃহৎ পাইকারী ফুলের বাজার যশোর জেলার গদখালীতে। এখান থেকেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার চালান যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ছোট বড় শহরে, তারপর তা খুচরা দরে বিক্রি করা হয় ভোক্তাদের মাঝে।
সম্প্রতি শাহিন রহমান নামে গদখালীর স্থানীয় এক তরুণ তার নিজস্ব উদ্যোগে কোন রকম মধ্যস্ততাকারী ছাড়াই সরাসরি উৎপাদক টু ভোক্তা পদ্ধতিতে ফুল পৌঁছে দিচ্ছেন দেশের যেকোনো প্রান্তে। শাহিন রহমানের এই তরুণটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের অর্নাস ৩য় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী এবং তার বাসা গদখালীতে।
তার দেওয়া ভাষ্য মতে করোনা মহামারীর করাণে দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার এই সময়টা বেকার বসে না থেকে নিজ এলাকার সম্ভাবনাকে কাজে লাগোনার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহন করেছেন তিনি। মূলত তিনি অর্ডার পাওয়ার পর সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে সংগ্রহীত ফুল প্যাকেজিং করার পর বাস ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে একদম চূড়ান্ত ভোক্তার দোরগোড়ায়। আর ভোক্তারা অত্যান্ত সুলভ মূল্যে পেয়ে যায় মন জুড়ানো টাটকা ও সতেজ ফুল। ফলে ভোক্তাদের এখন চড়া মূল্যে সপ্তাহ খানেকের বেশি পানিতে ভেজানো বাসী ফুল কেনার বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না৷
তরুণ এ উদ্যোক্তা জানান, গোলাপ, গাঁদা, রজনী গন্ধা, স্টিক, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা,জিপশী, কামিনীপাতা সহ সব ধরনের ফুল ও ফুলের চারা সরবরাহ করছেন তিনি। আমাদের দেশে গায়ে হলুদ, বিবাহ, জন্মদিন, ইদ, পূজাপার্বণ, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবসহ সব ধরনের জাতীয় এবং সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে প্রচুর পরিমানে ফুলের দরকার হয় যা শহরের খুচরা দোকান থেকে কিনতে গেলে গুনতে হয় চড়া মূল্য। তাই সর্বোৎকৃষ্ট ফুল সরবরাহের মাধ্যমে ক্রেতা সন্তুষ্টি ও তাদের আস্থা অর্জন করতে পারলে ছাত্রাবস্থাতেও এই ব্যবসা থেকে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে হলে বিশ্বাস করেন তিনি।
তরুণ উদ্যোক্তা শাহীন রহমান আর ব্যবসায়িক প্রচারনায় ব্যবহার করছেন 'ফুলের রাজ্য গদখালী' নামে নিজস্ব ফেইসবুক পেজ। পেইজের ইনবক্সে নক দিলে তিনি ও তার টিম গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে থাকেন।
-কেএল