দীর্ঘ সময় ধরে বেশ জনপ্রিয়তার সঙ্গে গজল গেয়ে যাচ্ছেন শিল্পী আবু রায়হান। কলরবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ. এর হাত ধরে তার সঙ্গীত অঙ্গণে আগমন। ‘মিছে জীবন’ এলবামের মাধ্যমে বেশ ভালোভাবেই শ্রোতাদের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি। মায়াবী কণ্ঠে গাওয়া তার সঙ্গীতগুলো মানুষের মনে তৈরি করে ভিন্ন এক আমেজ। সময়ের এ জনপ্রিয় শিল্পী তার সঙ্গীত ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের এর আজকের ‘আলাপন’ বিভাগে। তার সঙ্গে কথা বলেছেন, কাউসার লাবীব
লকডাউন কীভাবে কাটলো?
আমাদের যেহেতু বেশির ভাগ কাজ ইনডোর কেন্দ্রিক, তাই বলা যায় লকডাউনেও খুব ব্যস্ত সময় পার করেছি। সময়গুলো নষ্ট হতে দিই নি। কিছু নাশিদ হাতে ছিল সেগুলোর সুর করেছি। বেশকিছু গানের রেকর্ড করেছি। এগুলো ধীরে ধীরে দর্শক-শ্রোতারা পাবে। ইনশাআল্লাহ।
লকডাউন পরবর্তী কী নিয়ে ব্যস্ত?
মনের মাধুরী মিশিয়ে একটি স্টুডিও করা আমার অনেকদিনের আশা ও স্বপ্ন। এ আশা ও স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছি। ‘তারানা স্টুডিও’ নামে খুব শীঘ্রই এটি আলোর মুখ দেখবে। এছাড়া সুর ও রেকর্ড করা নাশিদগুলোর আউটডোর কেন্দ্রিক যেসব কাজ বাকি ছিল, সেগুলোর কাজ শেষ করছি।তবে স্পেশাল একটি কাজ হাতে নিয়েছি। আমার আয়োজনে বেশকিছু মাদরাসার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের কণ্ঠে চমৎকার একটি নাশিদ নিয়ে আসছি । যা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ। সব মিলিয়ে স্পেশাল কিছু অপেক্ষা করছে।
হাতে এখন কোন নাশিদের ফাইনাল কাজ?
একটি নাশিদের কাজ প্রায় শেষ। দর্শক-শ্রোতাদের অপেক্ষা দীর্ঘ করবো না। নাম হতে পারে ‘বন্ধু’।
এ নাশিদে স্পেশাল কী পেতে যাচ্ছি আমরা?
এমন একটি ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে আমার এ নাশিদের থিম, যারা সমাজ বিনির্মাণে সচেষ্ট।অসহায়ের সহায়।দেশ ও ইসলামের খেদমতে নিবেদিত প্রাণ।
ইসলামী সঙ্গীতের অডিও ও ভিডিও এদুটি যুগেই আপনার জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। আপনার কাছে কোন যুগটি বেশি প্রিয়?
অডিওর সময়েই যেহেতু আমার বেড়ে ওঠা, তাই সে সময়টা আামার হৃদয়ে ভিন্ন এক আবেশ তৈরি করে। তবে ভিডিওর সময়টিইও প্রশংসার দাবিদার। এখন একজন শিল্পী যদি চায় ‘সে শুধু নাশিদকেই তার জীবন বানিয়ে সময় পার করবে।’ তাহলেও তাকে কারো কাছে হাত পাততে হবে না। সম্মান এবং স্বচ্ছলতাকে সঙ্গী করে সে চলতে পারবে।
‘আবু রায়হানের নাশিদ শুনতে শুনতে মানুষ ঘুমোতে যায়,মনের বিষাদ দূর করে এবং খুঁজে পায় স্রষ্টাপ্রেম।’ এ বিষয়টি আপনাকে কতটুকু আলোড়িত করে?
যদি বলি ‘মানুষের এ ভালবাসার জন্যই গান করা, তাহলে ভুল হবে না। আসলে এগুলো আমার জীবনের পরম পাওয়া।
এবার এককথায় কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রস্তুত?
হ্যাঁ। বলুন।
কোনটি বেশি প্রিয় ভ্রমণ নাকি বন্ধুদের নিয়ে পার্টি?
ভ্রমণ।
গ্রাম নাকি শহর?
গ্রাম।
শীত নাকি গরম?
শীত।
ঘুম নাকি কাজ?
কাজের সময় কাজ, ঘুমের সময় ঘুম।
মোবাইল নাকি ক্যামেরা?
মোবাইল।
-কেএল