আরাবী বিনতে শফিক শিফা। ‘এক পলকে শেখ হাসিনা’ অ্যাপ তৈরি করে সারাদেশে আলোরন সৃষ্টি করেছে সে। ময়মনসিংহের ফুুলপুর উপজেলার আমুয়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী আরাবী বিনতে শফিক শিফা। বাবা মুহা. শফিকুল ইসলাম ডিআরও কর্মকর্তা।
‘এক পলকে শেখ হাসিনা’ তৈরি ও তার ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে কথা হয় আরাবীর সাথে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফুুলপুর প্রতিনিধি আলি যুবায়ের খান।
আওয়ার ইসলাম: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন?
আরাবী: ওয়া আলাইকুমুস সালাম, ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
আওয়ার ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ। ‘এক পলকে শেখ হাসিনা’ অ্যাপটি তৈরিতে আপনি কিভাবে অনুপ্রাণিত হলেন?
আরাবী: ৩বছর বয়সে মামা সাজেদুজ্জামান রাকিবের কোলে বসে প্রথম কম্পিউটার স্পর্শ করি। আমার শ্রদ্ধেয় নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার খালেকুজ্জামানের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও উনার পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গল্প শুনতাম। এরপর থেকেই কিছু করার ইচ্ছা জাগে। এছাড়াও শ্রদ্ধেয় রেজা মুসাফির স্যার, তাসফিক হক নাফিও মামা এবং বাবা-মা অ্যাপ তৈরিতে আমার অনুপ্রেরণা।
আওয়ার ইসলাম: অ্যাপ তৈরি করে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন, পাচ্ছেন। আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
আরাবী: মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসা আমাকে আনন্দিত করেছে। আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন।
আওয়ার ইসলাম: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই।
আরাবী: আইটি সেক্টরে কাজ করার ইচ্ছা আছে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
আওয়ার ইসলাম: আপনার জীবনের শুরুটাতে কোথায় বেড়ে ওঠেছেন?
আরাবী: আমার বেড়ে উঠা নানুর বাড়ি নরসিংদীতে। বাবার চাকরির সুবাদে ফুুলপুর অফিসার্স কোয়াটারে এখন আছি।
আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আর কী করার ইচ্ছা রয়েছে?
আরাবী: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে 'এক পলকে শেখ হাসিনা ' অ্যাপের আবর্তে একটি বই রচনা করতে চাই। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি অ্যাপ নির্মাণ করতে চাই।
আওয়ার ইসলাম: অবসরে কি করতে ভালোবাসেন?
আরাবী: অবসরে বই পড়ি, পত্রিকা পড়ি এবং কম্পিউটারে কাজ করি।
আওয়ার ইসলাম: আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরাবী: ধন্যবাদ।
-এটি