আওয়ার ইসলাম: লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল বন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবমাননার দায়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলেছে জনতা।
জানা যায়, গতকাল আসছের নামাজের পর রংপুরের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামস্থ ৮নং বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রবেশ করে দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
নামাজ শেষ হতে না হতেই তারা দুজন দাবি করে এ মসজিদে বোমা আছে এবং এই মসজিদে একজন জঙ্গিও আছে। তারপর তারা তল্লাশির নামে মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবমাননা করে, কুরআন ছিড়ে ছিড়ে পায়ে পা দিয়ে মাড়াতে থাকে। মুহূর্তেই মুসল্লিরা ফুঁসে ওঠে তাদের উপর,
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে জনতার ক্ষোভ।
প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ উপজেলা, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রুহুল আমিন বাবুল বলেছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে সেই সময় পরিষদের ভিতরে আটকে রাখা হয়।
বাদ মাগরিব। সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় মুসলিম জনতা বিক্ষোভ শুরু করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ও গ্রামের মানুষ পুরুষ নারী রাস্তায় নেমে আসে।
এক পর্যায়ে পুলিশী বাধা পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে অসংখ্য মুসল্লি, ঝাঁপিয়ে পড়ে কুরআন অবমাননাকারীর উপর, একজন পালিয়ে যায়, অন্যজন মূহুর্তেই জনতার রোষানলে পতিত হয়।
তাকে ইউনিউন পরিষদ ধেকে বের করে আনা হলে লাশের উপর গণপিটুনি দেয় জনসাধারণ, তার লাশটি পুড়িয়ে ফেলা হয়। এদিকে ন্যাশনাল ব্যাংকের গার্ড কর্মচারীগণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের উপর চড়াও হয় সাধারণ মানুষ। সামান্য ভাংচুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিরাপত্তাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা যায়।
নিহত শহিদুন্নবী জুয়েল নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি রংপুর শহরের শালবান এলাকায়। জুয়েল রংপুর ক্যান্ট পবলিক স্কুলের সাবেক লাইব্রেরিয়ান বলে জানা গেছে। তার বাবার নাম আবদুল ওয়াজেদ মিয়া।
-এটি