আওয়ার ইসলাম: প্রায় ৬ মণ কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম খবির।
সরকার নিষিদ্ধ না করলেও চল উঠে যাওয়ায় কিংবা বিড়ম্বনা মনে করে দোকানদাররা সেগুলো নিতে চাইতো না। ওদিকে ঘরে কয়েন থাকা স্বত্ত্বেও করোনাকালে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অর্থাভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন খবির। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এগিয়ে আসে সোনালী ব্যাংক।
দীর্ঘ ২৫ বছর সবজি বিক্রি করায় এসব কয়েন তার কাছে জমে গিয়েছিল। কয়েন গুণতে কষ্ট হলেও খবির কখনোই কোনো ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেননি। ঝামেলা মনে করে ঘরে এসে কয়েনগুলো আলাদা করে রাখতেন। এভাবে তার কাছে জমা পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের কয়েন।
খবিরের সমস্যা সমাধানে প্রথমে এগিয়ে আসেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখাকে এর একটা বিহিত করার অনুরোধ করেন। তারপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা খবিরের কয়েনগুলো জমা নিতে নির্দেশ দেয় সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখাকে। ইতোমধ্যে গতকাল (২২ অক্টোবর) ৩ হাজার টাকা সমমূল্যের কয়েন জমা নেওয়া হয়েছে।
মহম্মদপুর উপজেলা সোনালী ব্যাংক সদর শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মতিন বলেন, সরাসরি এত কয়েন নেওয়া তো সম্ভব নয়, তাই খবিরের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তিনি এখানে প্রতিদিন ১ হাজার টাকার কয়েন জমা দিতে পারবেন, সেটা তার অ্যাকাউন্টে যোগ হবে। পরে তিনি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যেতে পারবেন।
-এটি