আওয়ার ইসলাম: ভোলার চরফ্যাশনে ১০ বছরের মাদরাসায় পড়ুয়া এক শিশুর বয়স ২৫ বছর দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২২ বছরের এক বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী মামলা করেছেন। আর ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে ওই শিশুর বাবা ও বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে স্থানীয় ভূমিদস্যু এ ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি শিশুর পরিবারের।
স্থানীয়রা বলছেন, জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে নাবালক ছেলেকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তবে আদালতে করা অভিযোগটি তদন্তে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত পরিবারকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
চরফ্যাশনের চর নুরুল আমিন গ্রামের জেলে আবদুল আলীর ১০ বছরের ছেলে নাইম বাড়ির পাশের একটি নুরানি মাদ্রাসার ছাত্র। ওই শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক ২২ বছরের তরুণী বাদী হয়ে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার এজহারে আসামি শিশুর বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ বছর। আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন। শিশুর বাবা মায়ের অভিযোগ, ভূমিদস্যু তছির আহম্মেদ হঠাৎ করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া তার গৃহকর্মী প্রতিবন্ধী তরুণীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন। আসামি শিশুর বাবা বলেন, আমার বড় ছেলে, ছোট ছেলে এবং আমাকে আসামি করা হয়েছে। শিশুটির মা বলেন, আমার শিশুরে শত্রুতা করে মামলা দিছে আমি এর বিচার চাই।
জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে নাবালক ছেলেকে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরাও। আর বাদী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ডেলিভারির পরে ডিএনএ টেস্ট করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। তবে এর আগে শিশুর পরিবার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করবে পুলিশ। তছির আহম্মেদের সঙ্গে আসামিদের ২২ শতাংস জমি নিয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা চলছে।
-এটি