আওয়ার ইসলাম: সরাসরি অ্যাকাউন্টে বেতন-ভাতা পাবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিগগিরই সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন-ভাতা পাবেন। সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষকরা এই সুবিধা পাবেন। গতানুগতিক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার কারণে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই শিক্ষকদের ভোগান্তি লাঘব করতে দ্রুত এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্যা হতো, তা আর হবে না। স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। অর্থ বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাবে টাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে।’
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. তাসরিফ আহমেদ বলেন, ‘গতানুগতিক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আমরা বেতন-ভাতা উত্তোলন করি। সে কারণে বেতন-ভাতা পেতে কখনও অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে প্রধান শিক্ষক বেতন বিল তৈরি করেন। তারপর নিজে স্বাক্ষর করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির প্রতিস্বাক্ষর নেন। পরে বেতন বিলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষর করেন। এরপর উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষর করলে ওই বেতন বিল জমা দিতে হয় উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসারের কার্যালয়ে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস বেতন বিল পাস করে ব্যাংকে পাঠান।
এরপর ব্যাংকের কর্মকর্তারা যাচাই করে বেতন বিলের বিপরীতে শিক্ষকদের হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন। তখন শিক্ষকদের নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়ার পর বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে ইএফটির মাধ্যমে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই ইএফটির মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফারের ব্যবস্থা এখনও হয়নি।
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি কার্যক্রম চালু হয়েছে ইএফটির মাধ্যমে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাও ইএফটির মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এমডব্লিউ/