আওয়ার ইসলাম: চলতি বছরে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্থিক অনুদান সংকট তৈরি হয়েছে বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, এ বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাহিদার ৫০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ২৪২ কোটি টাকা) থেকেও কম আর্থিক অনুদান সংকট রয়েছে, যা মূল চাহিদার অর্ধেক। অনুদানের অর্থ সংগ্রহ না হওয়ায় ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খাবার, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদানে সংকট তৈরি হবে বলে এইউএনএইচসিআর জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতি জাতিসংঘের সংস্থাটি বৃহস্পতিবার জানায়, অনুদানের চাহিদা অর্জনে আগামী সপ্তাহে দাতাদের নিয়ে বড় একটি কনফারেন্স করতে যাচ্ছেন তারা। অনলাইনেই এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। এক বিবৃতিতে শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানানোর মানে হচ্ছে, তাদের প্রাথমিক চাহিদা পূরণের চেয়ে বেশি কিছু।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য মানুষের মতো শরণার্থীদেরও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করার অধিকার রয়েছে এবং একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যত গড়ার সুযোগ রয়েছে।’
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশটি থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুর সাড়ে সাত লাখের মতো মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও, মিয়ানমার সরকারের রোষানলে পড়ে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসেছিল বাংলাদেশে। সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প এখন কক্সবাজারে। এ ছাড়া দেড় লাখের মতো রোহিঙ্গা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ৬ লাখের মতো রোহিঙ্গা এখনো মিয়ানমারেই আছে, যাদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাদের অবস্থান এখন সরকারি ক্যাম্পগুলোতে।
ইউএনএইচসিআর জানায়, ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ওই কনফারেন্সে সংগৃহিত অনুদান রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলোকে ‘জরুরি সেবা’ প্রদানে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। সংস্থাটি জানায়, তারা এই শরণার্থী সমস্যার আরও টেকসই সমাধানের প্রতি জোর দেবে। যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন হয়।
-এটি