আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার বাংলা সাহিত্য বিভাগ ‘কাফেলা সাহিত্য মজলিস’ চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষণ-উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাদ মাগরিব, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ-উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কাফেলা সাহিত্য মজলিসের পরিচালক এইচ. এম. আবু সালেহ এর সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণার্থী নূর হোসাইন সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার ভাইস প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন।
প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্যে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার ভাইস প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান বলেন, প্রত্যেক ভাষার মার্জিত রূপ আছে। সেই মার্জিত রূপে পোঁছাতে চর্চার প্রয়োজন। এ চর্চাকে এককথায় তরবিয়ত বলে। তালিম আর তরবিয়ত একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তালিম আক্ষরিক জ্ঞান, আর তরবিয়ত প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, চর্চার মাধ্যমে একই কথা, শব্দ, বাক্যের মার্জিত রূপ বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে, বিশ্ব তার কথাকে, তার সাহিত্যকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য এতটাই মার্জিত হয়েছে যে, বিশ্বের কাছে তা গ্রহণীয় হয়েছে। সাহিত্যে তিনি নোবেল পেয়েছেন।
হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান আরও বলেন, রাসূলের ভাষা, কুরআনের ভাষা এবং জান্নাতের ভাষা ‘আরবী’ হওয়ার কারণে আমরা আরবী ভাষা চর্চা করি। আরবীর মাধ্যমে আমরা ইলমে দ্বীন অর্জন করি। উদ্দেশ্য হলো, জাতির দীনি প্রয়োজন মিটানো। আর এই দীনি প্রয়োজন মিটানোর মাধ্যম হলো বাংলা ভাষা।
তিনি বলেন, মসজিদের মিম্বরের বয়ান, মাসআলা বর্ণনায় এবং লিখনির মাধ্যমে ভাষার প্রয়োগে যখন সাবলীল ও মার্জিত রূপ গ্রহণ করতে পারবে, তখন মানুষ তাকে গ্রহণ করবে। দেমাগ, কলম, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুশৃঙ্খল হলেই তুমি সু-সাহিত্যিক।
এতে জামিয়ার শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামিয়ার আবাসিক হল পরিচালক ও সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি ইকবাল হোসাইন কাসেমি, মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমি, শিক্ষক মাওলানা হোসাইন আহমদ মিনহাজ, সাংবাদিকতা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বিভাগের শিক্ষক মাওলানা মুনির আহমদ প্রমুখ।
এমডব্লিউ/