মুহাম্মাদ ইশতিয়াক সিদ্দিকী
হাটহাজারী প্রতিনিধি>
দারুল উলূম হাটহাজারীর সাবেক মহাপরিচালক ও আমিরে হেফাজত আল্লামা আহমদ শফী মহান প্রভুর ডাকা সাড় দিয়ে নশ্বর এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু ছাত্র ও ভক্তবৃন্দের মন যেন তা মানতে চাইছে না।
গত ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। লাখো লাখো মানুষ ভালবাসা আর চোখের অশ্রুতে প্রিয় ব্যক্তিকে অন্তিম যাত্রার জন্য বিদায় দেন।
এদিকে দাফনের পর থেকেই সারাদিন বিশেষ করে প্রত্যেক নামাজের পরপরই তার কবর জিয়ারত করছে ছাত্র, আলেম-ওলামা, জনসাধারণ ও পথচারী। মুনাজাত করতে গিয়ে অনেকে চোখে অশ্রু গড়াতেও দেখা গেছে।
টাংগাইল থেকে আগত মুফতি সাইফুল ইসলাম জানান, আমি হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক ছাত্র। বড় হুজুরের কাছে বুখারী পড়ার স্বপ্ন ছিল। আমার স্বপ্ন আল্লাহ কবুল করেছেন। হুজুরের মৃত্যুর খবর শুনার পর ৭০জনের একটি কাফেলা নিয়ে জানাযায় এসেছি। অধিকাংশ সঙ্গীরা চলে গেলেও আমি রয়ে গেছি। এ হাটহাজারী আমার জীবন পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা রেখেছে। এ মায়া ছেড়ে চলে যেতে মন চাইছে না। বড় হুজুরের জন্য মনে কাঁদছে। তাই জিয়ারত করতে আসি বারবার।
আল্লামা আহমদ শফীর ছাত্র ও ভক্তরা মনে করেন, শতবর্ষী এ মহান নেতা ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার বিয়োগ দেশের ধর্মীয় অঙ্গনে কতটা শূন্যতা তৈরি করেছে এবং আদৌ তা পূরণ হবে কি না বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, আল্লামা আহমদ শফী ছিলেন একাধারে দেশের সর্ববৃহৎ কওমী মাদরাসা দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক, সম্মিলিত কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড আলহাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান, নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান।
দেশের ইতিহাসে একই সঙ্গে এতগুলি শীর্ষ পদে থেকে সুচারুরূপে দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়া ব্যক্তি একমাত্র আল্লামা আহমদ শফীই ছিলেন।
-এএ