সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

বাইতুল্লাহর আদলে নির্মাণ হতে পারে অযোধ্যার মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের রাম জন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় অনুযায়ী অযোধ্যায় বাস্তবায়িত হতে যাওয়া মসজিদটি প্রচলিত আঙ্গিক নয় বরং ভিন্ন আদলে নির্মাণ করা হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদটি নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ) সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আতহার হুসেইন জানিয়েছেন, মসজিদের প্রথাগত আদলের বাইরে গিয়ে নির্মাণ হবে এটি।

সেক্ষেত্রে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র কাবা শরিফের আদলে এটি নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আতহার জানান, নতুন মসজিদটি কোনও সম্রাট বা বাদশাহের নামে নামকরণ করা হবে না।

অযোধ্যার ধন্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমিতে নির্মাণ হবে মসজিদ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে শতাব্দী প্রাচীন বিবাদের আইনি ইতি টেনে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, অযোধ্যার বিতর্কিত ওই ২ দশমিক ৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি। মন্দির ও মসজিদ নির্মাণে হিন্দু ও মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের আলাদা দুটি সংস্থাকেও দায়িত্ব দেয় আদালত।

ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র আতহার হুসেইন বলেন, ‘মসজিদটির নাম বাবরি মসজিদ হবে না। কোনও বাদশাহ কিংবা সম্রাটের নামেও এটির নামকরণ হবে না। আমার ব্যক্তিগত মত হলো এটিকে ধন্নিপুর মসজিদ নাম দেওয়া উচিত হবে।’

মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে জাদুঘর, হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানান আতহার হুসেইন। এজন্য অনুদান সংগ্রহের উদ্দেশে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট বানানোর কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। ওই ওয়েবসাইটে ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের লেখা থাকবে বলেও জানান আতহার। তিনি বলেন, পোর্টালের কাজ এখনও কিছুটা বাকি রয়েছে আর সেকারণে অনুদান সংগ্রহ শুরু করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী ‘করসেবকেরা’ অযোধ্যার বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়। তাদের দাবি, ওই স্থানেই ছিলো প্রাচীন রাম মন্দির।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ