আব্দুল্লাহ আফফান: আবারও মাঠে নেমেছে চট্টগ্রামের মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। মাদরাসায় অবস্থান করা আওয়ার ইসলামের প্রতিনিধি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, আল্লামা আহমদ শফি গোপন বৈঠক করে। বৈঠকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মাদরাসা বন্ধের আলোচনা হয়। এমন সংবাদ ছাত্রদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে। এতে উত্তাল হয়ে ওঠে মাদরাসা মাঠ।
এর আগে গতকাল রাতে আল্লামা আহমদ শফী, শুরা সদস্য ও মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকরা মাওলানা আনাস মাদানীকে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়। অন্য সিদ্ধান্তগুলো- মাদরাসায় অধ্যয়নরত কোনো ছাত্রকে হয়রানি করা হবে না। অবশিষ্ট সকল প্রকার সমস্যার সমাধান আগামী শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মজলিসে শুরার বৈঠকের মাধ্যমে করা হবে।
শুরার সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মেখল মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নোমান ফয়েজী, নানুপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী ও মাওলানা ওমর ফারুক।
এর আগে গতকাল জোহরের পর থেকে মাওলানা আনাস মাদানীকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে হাটহাজারী মাদরাসা ময়দানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা বিভিন্ন রকমের স্লোগানে উত্তাল করে তোলে পুরো মাঠ।
জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় মাদরাসা এলাকার আশপাশের লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। গেটের বাইরে অবস্থান নিয়েছিলো র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ছাত্রদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলো হলো, এক. মাওলানা আনাস মাদানীকে অনতিবিলম্বে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। দুই. ছাত্রদের প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ সুবিধা প্রদান ও সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তিন. শায়খুল হাদিস আল্লামা আহমদ শফী অক্ষম হওয়ায় মহাপরিচালকের পদ থেকে সম্মানজনকভাবে অব্যাহতি দিয়ে উপদেষ্টা বানাতে হবে।
চার. উস্তাদদের পূর্ণ অধিকার ও নিয়োগ-বিয়োগকে শুরার নিকট পূর্ণ ন্যস্ত করতে হবে। পাঁচ. বিগত শুরার হক্কানী আলেমদেরকে পুনর্বহাল ও বিতর্কিত সদস্যদের পদচ্যুত করতে হবে।
-এএ