আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দিয়েছে আরও দুই সেনা সদস্য। আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে ওই দুই সেনার আলোচিত জবানবন্দি প্রকাশের পর পাওয়া গেছে নতুন ভিডিও ফুটেজ। যাতে আগের দু’জনসহ একসঙ্গে চার সেনা সদস্যকে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিতে দেখা যায়।
যে নতুন দুই সেনা সদস্য জবানবন্দি দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। তারা হলেন- চ্যাও মিও অং এবং পার তাও নি। এর আগে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন জ নাইং তুন ও মায়ো উইন তুন।
চ্যাও মিও অং বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালিয়েছে সেনাবাহিনী। বাহিনীর মধ্যে জাতিগতভাবে বৈষম্য করা হয়। অনেক কর্মকর্তা মাদকাসক্ত। মাদকে পৃষ্ঠপোষকতাও রয়েছে তাদের।
পার তাও নি বলেন, তারা আমাদের (সেনা কর্মকর্তারা) বলতেন ভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সবাই দাস। তাদের সঙ্গে সে হিসেবেই ব্যবহার করতে হবে। সন্ত্রাসী বাহিনীর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে বেসামরিক জনগণের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
এর আগে স্বীকারোক্তিতে মায়ো উইন তুন বলেছেন, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে তিনি ও তার ব্যাটালিয়নকে পাঠানো হয়েছিল সেখানকার কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানোর জন্য।
তিনি ৩০ জন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের মরদেহ গণকবর খুঁড়ে পুঁতে দেন। একজন নারীকে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
আরেক সেনা সদস্য জ নাইং তুন বলেছেন, তার ব্যাটালিয়ন প্রায় ২০টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। এ পথে যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করেছে। এই দু’জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস জানিয়েছে, তারা উভয়ে প্রায় ১৮০ রোহিঙ্গা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
-এএ