আওয়ার ইসলাম: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে সোমবার প্রায় ৩০০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা ছয় মাস আগে ‘বাংলাদেশ থেকে’ মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন বলে দাবি দেশটির কর্মকর্তাদের। কিন্তু ঢুকতে না পেরে কাঠের নৌকায় সাগরেই ভাসতে থাকেন।
অচেনেস পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় এক জেলে মাছ ধরার সময় উপকূল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রোহিঙ্গাদের দেখতে পান। পরে তাদের উজং ব্ল্যাং সৈকতে নিয়ে আসেন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ইপ্টু ইরওয়ানস্যা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ভেতর ১৪ শিশুর পাশাপাশি ১৮১ জন নারীকে পাওয়া গেছে। রেড ক্রসের প্রধান জুনাইদি ইয়াহিয়া জানিয়েছেন, তাদের সবাইকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী একজন অসুস্থ হওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত জুনে ১০০ রোহিঙ্গাকে একইভাবে উদ্ধার করে ইন্দোনেশিয়া। মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘুরা দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছেন। এক দেশ থেকে আরেক দেশে পালানোর এই চিত্র এখনো অব্যাহত আছে।
অলাভজনক সংস্থা আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লেওয়া রয়টার্সকে বলেন, সোমবার আচেহ প্রদেশে পৌঁছানো রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে মার্চ অথবা এপ্রিলের শুরুতে যাত্রা করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মালয়েশিয়ায় ঢোকা। কিন্তু করোনাকালে সীমান্তে কড়াকড়ি অবস্থা থাকায় তারা দেশটিতে যেতে পারেননি। ওদিকে ঢুকতে দেয়নি মিয়ানমারও।
পাচারকারীরা তাদের কয়েক ভাগে নৌকায় ওঠায়। গত জুনে বেশ কয়েক জন মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় ঢুকতে পারলেও বাকিরা রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরেই ছিলেন!
-এটি