কাওসার আইয়ুব।।
সালাম অর্থ শান্তি। ইসলামের একটি সৌন্দর্য, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের হক ও অধিকার। মুসলমান পরস্পরকে সালাম দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ হতে তার উপরে শান্তি বর্ষণের দোয়া করে। সালাম এর মধ্যে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি কামনা করা হয়। আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহর মধ্যে ওরাহমাতুল্লাহ বলে আল্লাহ তায়ালার দয়া ও করুণার আশা করা হচ্ছে।
অমুসলিম তো আল্লাহর উপরই সঠিক বিশ্বাস রাখে না। তাই তার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা অর্থহীন ও বোকামি। তাই সালাম শুধু এক মুসলমান অপর মুসলমানকেই দিতে পারবে। অমুসলমান কোন ভাইকে দিতে পারবে না।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لا تبدءوا اليهود ولا النصارى بالسلام ‘তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)
যদি কোন অমুসলিম আগে সালাম দেয়, তাহলে তার জবাবে ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, ﺇﺫﺍ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ‘আহলে কিতাবগণ তোমাদের সালাম দিলে, তার উত্তরে তোমরা শুধু ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে।’ (বুখারি ৬২৫৮ মুসলিম ২১৬৭)
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইয়াহুদি-খ্রিষ্টানদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না। যখন পথিমধ্যে তাদের কারো সাথে সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে পথের এক প্রান্ত দিয়ে যেতে বাধ্য করো। [মুসলিম ২১৬৭, তিরমিযি ২৭০০, আবু দাউদ ১৪৯, আহমদ ৭৫১৩,৭৫৬২, ৮৩৫৬, ৯৪৩৩, ৯৬০৩, ১০৪৪১৮
তবে শিষ্টাচারমূলক সম্ভাষণ করা যাবে। কোনো অমুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ করলে সৌজন্য প্রদর্শনস্বরূপ ‘আদাব, গুড মর্নিং, গুড ইভিনিং অথবা এই জাতীয় যেকোনো শব্দ বলা যাবে। এবং হাতের দ্বারা ইশারা করেও কুশল বিনিময় করা যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া)।
তবে কোনভাবেই তাকে ‘নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। (রহীমীয়া ৬/১২৬ কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)। কেননা, নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ শব্দটি হিন্দুদের বিশেষ সম্ভাষণবাচক শব্দ। নমষ্কার করার অর্থ আমি আপনার প্রতি মাথা ঝুঁকালাম। আপনি কবুল করুন।
অনুরূপভাবে নমস্তে বলার অর্থ আমি আপনার প্রতি মাথা ঝুঁকালাম। এমনই ভাবে কারো প্রতি সম্মানার্থে মাথা কিংবা পিঠ ঝুঁকানো যাবে না। [যাদুল মাআদ ২/৩৮৮; মাজমূআ ফাতাওয়া উছায়মীন ৩/৩৩; আল-মওসূআতুল ফিক্বহিইয়াহ ২৫/১৬৮
সুতরাং এরকম শব্দ বলে কোনো হিন্দুকে সম্ভাষণ করা যাবে না। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৫৪)
-এএ