সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

মসজিদে বিয়ে-শাদি বাড়ছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শুধু গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া নয়, বাংলাদেশের প্রকৃত জনমত তৈরি হয় মসজিদে। মিম্বারের ধ্বনিতে। আলেমদের মাধ্যমে। ইসলামী সমাজ মূলত মসজিদকেন্দ্রিক। মসজিদ মুসলমানের সচিবালয়। সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। মসজিদেই হওয়া উচিত জনকল্যাণমূলক সব কাজ। উদ্যোগ। শিক্ষা, বিয়ে-শাদী, সমাজসেবা, লঙ্গরখানাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের প্রাণ কেন্দ্র হবে মসজিদ।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন মসজিদের খতিবগণ। কারণ তিনি প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার মুসুল্লিদের নানাবিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করে থাকেন। ধর্মীয় জ্ঞান ও মানবতার আলো ছড়িয়ে দেন চারদিকে। শিক্ষিত -শিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত সর্বস্তরের মানুষই এ সামিয়ানার ছাত্র। বলা চলে মসজিদের মিম্বার মানুষের জীবনের উন্মুক্ত পাঠশালা। মিম্বার-মেহরাবের আলো ঝলমলে এ পাঠশালার প্রধান কারিগর একজন খতিব। সমাজের মানুষকে আরো বেশি মসজিদমুখী করতে কিংবা মসজিদকে গণমূখী করতে নানা পরামর্শ নিয়ে হাজির হয়েছেন দেশের  দুজন খ্যাতিমান খতিব। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম সাংবাদিক- মোস্তফা ওয়াদুদ।

মুফতি ইহসানুল হক জিলানী, পেশ ইমাম ও ভারপ্রাপ্ত খতিব, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকা

আওয়ার ইসলাম: সাধারণ মানুষ মসজিদমুখী হতে পারে কিভাবে? এতে খতিবের ভূমিকা কতটুকু?

মুফতি ইহসানুল হক জিলানী: আমাদের সমাজের সব মুসলমান মসজিদমুখী না। যারা আছে ভালো। তবে যারা নেই তাদের মসজিদমুখী করার জন্য একজন খতিব সাহেবের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তিনি প্রতি সপ্তাহে মিম্বারে বসে যুগ-উপযোগী আলোচনা করবেন। যখন যে আলোচনা দরকার তখন সে বিষয়ে কথা বলবেন। ডাক্তার যেমন রোগ দেখে তার চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। ঠিক তদ্রুপ একজন খতিব যখন প্রতি জুমায় তার মুসুল্লিদের অবস্থা জেনে, সমাজের অবস্থা বুঝে এ বিষয়ে কুরআন হাদিসের আলোকে আলোচনা করবেন। তখন অটোমেটিক দেখা যাবে যে, সমাজের মানুষের মাঝে একটা পরিবর্তন চলে আসছে। মানুষ নামাজের দিকে আসছে। মসজিদমুখী হচ্ছে। এজন্য সবার আগে মানুষকে তার অবস্থা মোতাবেক আমল করার পদ্ধতি বলে দিতে হবে। আর এ কাজটি করবেন একজন খতিব।

মুফতি আমজাদ হোসাইন, খতীব, নয়ানগর বায়তুল আমান জামে মসজিদ, গুলশান, ঢাকা।

আওয়ার ইসলাম: সাধারণ মানুষকে মসজিদমুখী করতে খতিবের ভূমিকা কতটুকু?

মুফতি আমজাদ হোসাইন: একজন খতিবের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা তিনি মিম্বারে বসে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো ভালোভাবে আলোচনা করেন ও ইসলামের সঠিক কথাগুলো তুলে ধরেন। খতিবরা যখন ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের সামনে আলোচনা করেন, তখন সেটা মানুষের মনে গেঁথে থাকে। তাদের মাঝে ভালো প্রভাব বিস্তার করে। মসজিদের মিম্বারে বসে খতিব সাহেব নামাজের আাবশ্যকীয়তা তুলে ধরলে ও নামাজের গুরুত্ব-তাৎপর্য, নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলে মানুষ মসজিদমুখী হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আওয়ার ইসলাম: দেখা যায় সমাজের উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা পার্কমুখী, মসজিদমুখী নয় কেনো?
মুফতি আমজাদ হোসাইন: এজন্য যে তাদের কাছে ইসলামের সঠিক দিক-নির্দেশনা পৌঁছেনি। হেদায়াতের আলো এখনো পায়নি তারা। তাদের কাছে যখন ইসলামের সঠিক শিক্ষা যাবে। ইসলামের উদারতা যখন তারা জানতে পারবে। তরুণ-তরুণিরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ভলোভাবে বুঝবে। তখন তারা পার্কমুখী হবে না। খেলামুখী হবে না। ওরা অন্য কোনো ধ্যান-ধ্যারণার দিকে ঝুকবে না। বরং ইসলামের দিকে ঝুকবে। বিশেষ করে মোবাইলের মাধ্যমে যেভাবে যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। নিজেদের আসল দায়িত্বের কথা ভুলে অপসংস্কৃতি নিয়ে পরে আছে। যখন তারা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হবে তখন তারা মসজিদমুখী হবে। অন্যমুখী হবে না। মোবাইলেও অযথা সময় নষ্ট করবে না।

আওয়ার ইসলাম: মসজিদ কি বিয়ে-শাদির জন্য কমিউনিটি সেন্টার বা বিচার সালিশের জন্য বিচারালয় হতে পারে? হলে কিভাবে?
মুফতি আমজাদ হোসাইন: কমিউনিটি সেন্টারেতো আসলে অনুষ্ঠান হয়। মসজিদে সুন্নাত তরিকা মোতাবেক বিয়ে-শাদি হতে পারে। সেটা হয়ও। তাছাড়া বর্তমানে মসজিদে বিয়ে-শাদি অনেক বেড়েছে। কমিউনিটি সেন্টার শব্দটির ব্যবহার মসজিদের সাথে না করাটাই ভালো। আর বিচারালয় হতে পারে। সেটাও সুন্নাত তরিকা মোতাবেক। এজন্য মসজিদের পাশে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য জায়গা থাকতে হবে।

মোটকথা রাসূল সা. ও তাঁর সাহাবাগণ যেভাবে মসজিদকে বিচারকার্যের জন্য ব্যবহার করতেন। হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. যেভাবে মসজিদকে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করতেন। সেভাবে যদি করা যেতে পারে তাহলে সেটা উত্তম ও প্রয়োজন বলে মনে করি।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ