আওয়ার ইসলাম: আজ সারাদেশেই পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা (বা কোরবানির ঈদ)। কোরবানির ঈদ মানেই গরু বা খাসি কোরবানি দেয়া। গরু বা খাসির ভুঁড়ি পরিষ্কার করা বেশ ঝামেলা। এতে সময়ও লাগে অনেক। তবে কিছু কৌশল আছে যা আপনার এই কঠিন কাজটিকে সহজ করে দেবে। তাছাড়া ভুঁড়ির গায়ে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। কাজেই খাওয়ার আগে ভুঁড়ি অবশ্যই খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হয়। চলুন জেনে নেই সহজ উপায়ে সঠিকভাবে গরু বা খাসির ভুঁড়ি পরিষ্কার করার উপায়-
যা যা লাগবে: চুন, হলুদ গুঁড়া, ধারালো ছুরি, বড় বালতি বা গামলা, বড় হাড়ি।
ভুঁড়ি পরিষ্কারের পদ্ধতি: প্রথমেই ধারালো ছুরি দিয়ে ভুঁড়িটা দুইভাগ করে এর ভেতরের সব ময়লা বের করে নিন। এরপর গরম পানি দিয়ে ভুঁড়ির ভেতরটা ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার ভুঁড়িটাকে বড় বড় টুকরো করে কেটে নিন। বালতিতে শুকনো চুন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে টুকরো করা ভুঁড়িগুলোকে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এমনভাবে ভেজাতে হবে যেন চুনের পানিতে ভুঁড়িগুলো ডুবে থাকে।
৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পরে ভুঁড়ির টুকরোগুলোকে চুন মিশ্রিত পানি থেকে তুলে ছুরি বা চামচ দিয়ে ভালোভাবে চেঁছে নিন। এতে করে খুব সহজেই ভুঁড়ি থেকে কালো অংশটুকু উঠে ভুঁড়ি সাদা হয়ে যাবে। যদি দেখা যায় যে ময়লাগুলো যায়নি, তাহলে আরো ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুনের পানিতে ডুবিয়ে রাখলেই সহজে ময়লাগুলো তুলে ফেলা যাবে।
এবার একটা বড় পাতিলে পানি ফুটিয়ে এতে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে টুকরো করা ভুঁড়িগুলোকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। এতে করে ভুঁড়িতে থাকা দুর্গন্ধ অনেকটাই কেটে যাবে। সিদ্ধ করা ভুঁড়ির টুকরোগুলো গরম থাকতে থাকতেই আবারো ছুরি বা চামচ দিয়ে চেঁছে নিন। গরম অবস্থায় চাঁছলে ভুঁড়ির পেছনে লেগে থাকা চর্বি আর পর্দাগুলো অনায়াসেই উঠে যাবে।
পরিষ্কার করা ভুঁড়িগুলোকে ঠাণ্ডা হওয়ার পর ছোট ছোট টুকরো করে রান্নার উপযোগী বানিয়ে নিন। এবার প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এই পদ্ধতিতে রাখলে ভুঁড়ি ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত খাওয়া যাবে।
-এএ