আব্দুল্লাহ আফফান: করোনা সংক্রমন রোধে প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে আগামী ৮ আগস্ট থেকে দেশের সব কওমি মাদরাসা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়া তিল কওমিয়া বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার আল-হাইআতুল উলয়া বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
হাইয়ার সিদ্ধান্ত এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের কারণে দ্বিধায় পড়েছে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
৮ আগস্ট মাদরাসা খুলে দেয়া বিষয়ে হাইয়াতুল উলয়ার সদস্য, বেফাকের সহকারি মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, কওমি মাদরাসা যেহেতু অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটু আলাদা, এজন্যই ইতোমধ্যে হাফিজিয়া মাদরাসা এবং হিফজ বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে। কোরবানির কাজের ব্যাপারে আমরা সরকারের সাথে আলোচনা করেছি। লিখিতভাবে না দিলেও মৌখিকভাবে কোরবানির কাজ করার অনুমতি দিয়েছে সরকারি মহল।
তিনি আরও বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো আবাসিক মাদরাসা। এগুলো প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ। এতে মাদরাসার সংশ্লিষ্ট লক্ষ লক্ষ শিক্ষক ও ষ্টাফ জীবন-জীবিকার সমস্যায় আছে। তাছাড়া কওমি মাদরাসাগুলো লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভরণ-পোষণের জিম্মাদারি পালন করে। সে সব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও করোনা সংকটের মধ্যে আরো বেশি সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ৬ আগস্ট পর্যন্ত। পরবর্তী কোন ঘোষণা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে এখনো আসেনি। এই সব বিবেচনায় আল হাইয়াতুল উলয়ার মুরব্বিগণ মনে করেন কওমি মাদরাসাগুলো খোলার সুযোগ আছে। সে হিসেবে আল হাইয়াতুল উলয়া এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করি সরকার হাইয়ার এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবে।
সরকার যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির সময় বাড়ায় তখন হাইয়ার সিদ্ধান্ত কী হবে? জানতে চাইলে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, সরকার যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ বাড়ায় তাহলে হাইয়ার মুরব্বিরা এ বিষয়ে পর্যালোচনা করবেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে কওমি মাদরাসা খোলার ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিপোষণ করার অনেক যৌক্তিকতা আছে।
হাইয়ার সদস্য সচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ৮ আগস্ট আল হাইয়াতুল উলয়া কওমি মাদরাসা খোলার ঘোষণা দিয়েছে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যেহেতু হায়াতুল উলয়ার অধীনে তাই তারা হাইয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবে। তবে সরকার যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ায় তখন হাইয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবে।
-এটি