সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বসনিয়ার মুসলিম গণহত্যার কথা আমি কিছুতেই ভুলতে পারিনা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: ড্যানিয়েল হাকিকাতজু
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান

কয়েকদিন আগে আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে এর পূর্বের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনি কি জানেন কার নেতৃত্বে কত খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মিত হয়েছিলো? ১৪৫৩ সালে মাত্র একুশ বছর বয়সে বিখ্যাত বীর সেনাপতি সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর হাতে কনস্টান্টিনোপল বিজিত হয়। তিনি কত বড় বীর বাহাদুর সিপাহসালার এবং কত দুঃসাহসী সেনাপতি ছিলেন!

এরও দশ বছর পরের কথা। তখন সুলতানের বয়স ৩১ ছুঁইছুঁই করছে। এই কৃপাধন্য মানব আল্লাহর অনুগ্রহে বসনিয়াকে জয় করে সেখানের জনগণের কাছে ইসলাম পৌঁছে দিয়েছিলেন । তখন থেকেই এই বর্তমানকাল পর্যন্ত ইউরোপ মহাদেশে বসনিয়কে ইসলামের হৃদপিণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৯৯২-১৯৯৫ অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রু বারবার ইসলামের এই হৃদপিণ্ডে আঘাত করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা গণহত্যার মাধ্যমে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এতো জুলুমের নির্যাতনের পরও বসনিয়াবাসীকে কোনকিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি বরং তারা আরো ইসলামের প্রতি উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাাহ তায়ালা বসনিয়ায় ইসলামকে হেফাজত করেছেন এবং ইসলামের জন্য বসনিয়াবাসীকে রক্ষা করেছেন।

আধুনিক ইউরোপ গত ৫০০ বছর ধরে নিজেদেরকে উন্নত মূল্যবোধ ও উজ্জ্বল আদর্শে অনুগত হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তথাপি তাদের ইতিহাসের বহু অংশ জুড়ে রয়েছে খুন জখম জুলুম এবং গণহত্যা। যখন তারা গণহত্যার অবস্থা সৃষ্টি করতে অক্ষম তখন আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধকে চাপিয়ে দেওয়ার হীন ষড়যন্ত্র করেছে। তাই বসনিয়ান কোন দেহকে গণহত্যায় হত্যা করতে না পারলেও কমপক্ষে এ কথা বলতো, আসো আমরা বসনিয়াবাসীর শরীরে বিষ দিয়ে তাদের ইমানী শক্তিকে নির্মূল করি।

ধর্মনিরপেক্ষতা,উদারবাদ,নারীবাদ এবং LGBT তথা এক কথায় সমকামিতা ইত্যাদি স্বচ্ছ ইসলামের প্রতিস্থাপন হিসেবে উদ্ভব হতে চলেছে। এটা একটা অত্যাধুনিক আক্রমণ। মিস্টার ইউরোপ! আমাদের চিৎকারে আকাশ প্রকম্পিত হয়েছে। গগনবিদারী চিৎকার কখনই তোমার কর্ণকুহরে পৌছেনি। তবুও এই গগণবিদারী চিৎকার কখনোই তোমার কর্ণকুহরে পৌছেনি। সূত্র: ইন্টানেট

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ