২৪ জুলাই মক্কা শরীফে প্রদত্ত খুতবার সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদ
মূল: শায়খ ডক্টর মাহির বিন হামদ আল মুয়াইকিলী
অনুবাদ: মুহাম্মদ ইশরাক
প্রথম খুতবা
হে মুসলিম জাতি! হিজরতের নবম বছর রজব মাসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরব উপদ্বীপের উত্তরে যাত্রা করেন। তিনি পঞ্চাশ দিন কঠোরতা ও কষ্টে কাটিয়েছিলেন। পদযাত্রায় ত্রিশ দিন এবং তাবুকে বিশ বছর অবস্থান করেন। অতঃপর তিনি পবিত্র রমজান মাসে মদিনায় ফিরে আসেন। এ সময় তিনি ষাটের উর্ধ্বে বয়সী ছিলেন। এটিই বহুল আলোচিত সেই গজওয়ায়ে তাবুক, যাকে কুরআনে সাআতুল উসর বা কষ্টের সময় শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে । কেননা চারদিক-ই কষ্টে আচ্ছাদিত হয়ে গিয়েছিল।
হযরত জাবির রা. বলেন দ্বিপ্রহরের প্রচন্ড তাপদাহ, পানির প্রাপ্তির দুর্লভতা ও পাথেয়ের স্বল্পতা ইত্যাদি সব কষ্ট একত্র হয়ে গিয়েছিল।
সহিহ ইবনে হিব্বানে বর্ণিত হয়েছে হযরত উমর ফারুককে রা. বলা হয়েছিল- তাবুকের কষ্ট সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন!
তিনি বললেন আমরা প্রচণ্ড গরমে তাবুকের দিকে যাত্রা করেছিলাম এবং আমরা এমন স্থানে অবস্থান করেছিলাম যেখানে আমরা তৃষ্ণার্ত ছিলাম, এমনকি আমরা অনুভব করতে লাগলাম, যেন আমাদের ঘাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। লোকেরা নিজেদের উট জবাই করে সেগুলোর পাকস্থলী চিপে তরল খাদ্য পান করেছিল। কলিজার পানি পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দিয়েছিল।
তাবুকের পথ ছিল সুদীর্ঘ এবং পাথেয় সামগ্রী ছিল খুবই অল্প। সেখানে ছিল প্রচন্ড গরম। পবিত্র মদিনাতে তখন ফল পাকার মৌসুম। লোকেরা এসময় মদিনাতেই অবস্থান করা বেশি পছন্দ করত। সুতরাং যারা এই পার্থিব জীবনের সুখ-শান্তি উপেক্ষা করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়েছে এবং নবীর সোহবত ত্যাগ না করার প্রত্যয়ী হয়েছে একমাত্র তারা-ই এ জিহাদে শরীক হয়েছিল।
তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ত্রিশ হাজার। আর যারা মদিনাতেই বসে ছিলেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদের ওজর কবুল করে তাদের এই অপারগতা মেনে নিয়েছিলেন এবং প্রতিদান তাদের সাচ্চা নিয়তের উপর ছেড়ে দিয়ে ছিলেন।
আনাস বিন মালিক রা. বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাজওয়ায়ে তাবুক থেকে ফিরে এসে বললেন, মদিনাতে এমন কিছু লোক আছে, তোমরা যেখানেই গিয়েছ বা যে উপত্যকা পার হয়েছো তারা তোমাদের সাথেই ছিল।
আরেক বর্ণনায়, তারা তোমাদের সাওয়াবে শরীক ছিল। সাহাবীগণ রা. বললেন, তারা কি মদিনাতেই ছিল? নবীজি বললেন: তারা মদিনায় ছিল, ওজর দ্বারা তারা আটকে ছিল ”(বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত)
হে ইমানদার ভাইয়েরা: নিয়ত হল একটি দুর্দান্ত বিষয়, কারণ এটি পুণ্যের প্রধান, কাজের ভিত্তি, সৎকর্মের অভিপ্রায়ের কর্মবিধায়ক এবং মাকছাদে পৌঁছানোর হামসফর। তাই আমাদের উত্তম পূর্বপুরুষরা নিয়তের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
এমনি কি সালফে সালেহীনের সম্পর্কে সুফিয়ান সাওরী র. বলেন: “ তারা আমলের জন্য আগে নিয়ত শিখেছেন, যেমন তোমরা আমল শিখছো।"
যদি নিয়ত সুন্দর ও স্বচ্ছ হয় তবে আমলও কবুল হয়। অনেক ছোট আমল আছে যা নিয়তের গুণে অনেক বড় হয়েছে। আবার অনেক বড় আমল আছে যা নিয়তের দোষে ছোট হয়েছে। খাঁটি নিয়তের মাধ্যমে মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে এমনকি যদি সে উক্ত আমল করার ফুরসতও না পায়।
সহিহ মুসলিম বর্নিত হয়েছে, বনী ঈসরাইলের এক ব্যক্তি একশজনকে হত্যা করেছিল, অতঃপর সে অনুতাপের সন্ধান করতে গিয়ে তার গ্রাম থেকে এমন এক গ্রামে চলে যায় যেখানে ধার্মিক লোকেরা বাস করত। যাত্রা পথে থাকতেই তা মৃত্যু হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা তার তওবা করেন এবং এই খাঁটি নিয়তের জন্য জাযায়ে খায়ের দান করেন।
আমর ইবনে সাবিত রা. প্রাথমিক অবস্থায় ইসলামকে অস্বীকার করেন তারপর উহুদের দিন ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন তরবারী হাতে নিয়ে লোক সমাগমে ছুটে গিয়ে লড়াই শুরু করেন। অতঃপর ক্ষতে বিক্ষতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। রাসূলের কাছে সাহাবীগণ তারঁ কথা উল্লেখ করলেন - তখন নবীজি বলেছিলেন সে জান্নাতীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। "(ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন)
অতএব একত্ববাদের সাক্ষ্য, ঈমান ও নেক আমলের ব্যপারে সুদৃঢ় সংকল্পের কারণে জান্নাতীদের অন্তর্ভূক্ত হলেন। যদিও মৃত্যুর আগে একটাও সিজদাহ্ করেননি।
আল্লাহ যখন বান্দার নেক নিয়ত, সৎ উদ্দেশ্য ও নির্ভেজাল আন্তরিকতা দেখেন। তখন তার কাজে বরকত দেন এবং তার প্রচেষ্টা কবুল করেন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন এবং যে পরকাল চায় এবং এর জন্য চেষ্টা করে এমন অবস্থায় যে সে মুমিন, তাহলে তার এই চেষ্টা কবুল করা হবে" (বনি ইসরাইল: 19)
নেক আমলের নিয়ত বান্দার আমলের ত্রুটি পূরণ করেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে আজর ও সওয়াব দান করেন। সুনানে নাসায়ীতে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'যে ব্যক্তি নিয়ত করে যে সে রাতে সালাত আদায় করবে। অতঃপর ঘুমিয়ে যায় কিন্তু জেগে দেখে সকাল হয়ে গেছে। সে রাতে যে নিয়ত করেছিল সে তার-ই সওয়াবই পাবে। ঘুমটা তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সদকা।
পবিত্র কুরআনে আছে এবং যে ব্যক্তি তার বাড়ি থেকে আল্লাহর এবং তাঁর রাসূলের পানে হিজরতে বের হয় আর পথিমধ্যে তার মৃত্যু এসে যায়, তবেও সে হিজরতের সওয়াব লাভ করবে। (সূরা নিসা:- 100)
ইবনে কাসীর এর তাফসিরে লিখেছেন, যে ব্যক্তি হিজরতের অভিপ্রায় নিয়ে ঘর ছেড়ে চলে যায় এবং সে পথেই মারা যায়।আল্লাহ তায়ালা তাকে মহাজিরদের সওয়াবই দান করেছেন।
হে সম্মানিত ঈমানদারগণ নেক নিয়তের ফায়দা হলো নিয়তকারী যে আমলের নিয়ত করেছে তা সহিহভাবে করতে না পারলে এর সওয়াব পেয়ে যায়।
বুখারী ও মুসলিমে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - পূর্বের এমন একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন যে দান করতো এবং গোপন করতো এমনকি নিজের থেকেও। অতঃপর প্রথম দান ব্যভিচারিণীর হাতে পড়েছিল দ্বিতীয়টি ধনী ব্যক্তির হাতে এবং তৃতীয়টি চোরের হাতে। বিষয়টি তাকে উৎকণ্ঠিত করলো। তাকে স্বপ্নে বলা হলো: আপনার দান গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ ব্যভিচারিণী হয়ত পতিতাবৃত্তি ছেড়ে দিবে। ধনী ব্যক্তি হয়ত শিক্ষা নিয়ে আল্লাহর মাল খরচ করবে। চোর হয়ত চুরি করা ছেড়ে দেবে।
ইবনে হাজার র. বলেন, দানকারীর নিয়ত খাঁটি হলে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন। যদিও অপ্রয়োজনীয় স্থানে দান সংঘটিত হোক না কেন! অর্থাৎ যদি এর প্রাপ্য ব্যক্তির হাতে দান না-ও পৌঁছে। যেমন নেক নিয়তের কারণে মুমিনকে তার পার্থিব কর্মের জন্য এবং তার জীবিকা নির্বাহের প্রচেষ্টার জন্য সওয়াব দেয়া হবে। মূলত এখানে অভ্যাসগুলি ইবাদতে রূপান্তরিত হবে।
সুতরাং সদকা হলো সওয়াব কামায়ের বিশাল ফটক। অথচ এ ব্যাপারে অনেক লোকই অবহেলা করে।
বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে যে সদকায় করবে এর প্রতিদানে সওয়াব লাভ করবে। এমনকি নিজ স্ত্রীর মুখে যে খাদ্য তুলে দাও।
ইমাম নববী র. বলেন" স্ত্রীর মুখে লোকমা তুলে দেয়া হয় সাধারণত স্ত্রীসুলভ প্রেম, ভালবাসা, হৃদ্যতা ও আন্তরিকতার কারণে যেখানে ইবাদত ও আখেরাতের বিষয়ের কোন অবকাশ থাকে না। তবুও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুসংবাদ দিয়েছেন যদি কেউ এ লোকমাতেও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিয়ত করে তাহলেও সে সওয়াব লাভ করবে।
সাহাবাগণ রা. এ কথার মর্ম পরিপূর্ণ আয়ত্ত করে ছিলেন। এমনকি মুয়াজ রা.- বলেছিলেন আমি আমার ইবাদতকে যেমন মনে করি তেমন নিজের ঘুমকেও গণ্য করি। "
অর্থাৎ যেমন তিনি নামাজ- কিয়ামে সওয়াবে প্রত্যাশা করেন। সমানভাবে তেমনি তিনি ঘুমের মধ্যেও সওয়াবের প্রত্যাশা করেন। যদিও ঘুমের মাধ্যমে আরাম লাভ হয়।
হে ঐ ব্যক্তি যিনি অসুস্থের কারণে অকেজো হয়ে গেছেন বা সফরের কারণে কোনও ভাল কাজ করতে পারেন না অথবা এমন কোন অজুহাত রয়েছে যা আল্লাহ জানেন। তবে ইনশাআল্লাহ আপনার আমলনামায় সওয়াব লেখা হবে। আপনার সুস্থ- সবল অবস্থার সকল আমলের সওয়াব লেখা হবে।
বুখারীতে আছে যদি কোন বান্দা অসুস্থ হয়ে পড়ে বা সফরে থাকে তবে তার আমলনামায় তা-ই লেখা হয় যা সে সুস্থ ও বাড়িতে থাকতে করতো।
নেক নিয়ত সর্বোত্তম জিনিস। যার দ্বারা একজন ব্যক্তি তার দিন শুরু করে এবং দিনটি শেষ করে এবং এটি রবের কাছে রাখা সর্বোত্তম সঞ্চয়। সুতরাং সুংবাদ মুমিনের জন্য সে তার কথা ও কর্মে নেক নিয়ত করবে। এমনকি এ সময় তার মৃত্যু এসে যায় আর তার ও আমলের মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় তবুও আল্লাহ তায়ালা আমলের সওয়াব লিখবেন।
ইমাম আহমদ রা. এর পুত্র বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, হে আমার পিতা, আমাকে সুপারিশ করুন, তখন তিনি বলেছিলেন: প্রিয় বৎস, কল্যাণের নিয়ত করো কেননা যতক্ষণ কল্যাণের নিয়ত করবে ততক্ষণ কল্যাণের সাথে থাকবে।
আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছিআল্লাহর অভিশপ্ত শয়তান থেকে(আউজুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রজীম) তোমাদের বেশি বেশি বৈঠকে কোন কল্যাণ নেই তবে যে দান সদকা, ভালো কাজ এবং মানুষের মাঝে মিমাংসার আদেশ দেয়। আর যে এগুলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে আমি তাকে অবশ্যই বিরাট পুরস্কার দান করবো। নিসা- ১১৪
দ্বিতীয় খুতবা
হে ঈমানদারগণ! এতে কোনও সন্দেহ নেই যে হজ ইসলামের একটি মহান স্তম্ভ, যা সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে তার জন্য ফরজ করেছেন। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের জীবন রক্ষার জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ হলো লোক সমাগম সীমিত করে হজ্জ পালন করা।
আর শরীয়তেরও অন্যতম উদ্দেশ্য হলো জানের হেফাজত। কেননা ইসলামে যে পাঁচটি জরুরি বিষয়ের হেফাজতের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে জানের হেফাজত ও তা ধ্বংস বা বিনষ্টের দিকে ঠেলে না দেয়ার বিষয়টি অন্যতম।
মুসলমানদের স্বার্থে হারামাইন শরীফাইনের নিবিড় পরিচর্যা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য আল্লাহ তায়ালা খাদেমুল হারামাইন ও এদেশের শাসকদের জাযায়ে খায়ের দান করুন।
যিনি হজ্ব করতে সামর্থ্য রাখেন না, আল্লাহ তায়ালা প্রতিদানস্বরুপ তাঁর জন্য জিলহজ্জের দশ দিনের মৌসুম রেখেছেন । যিনি কুরবানি আদায় করতে অক্ষম তার প্রতিদান সওয়াবের উপর বিদ্যমান।
এই দশ দিনে অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদত রয়েছে। তম্মধ্যে একটি হলো রোজা রাখা , বিশেষত আরাফার দিন, যা দুই বছরের জন্য কাফফারাস্বরুপ।
সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতিপয় বিবি রা. থেকে বর্ণিত তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিলহজের নবম দিনে রোজা রাখতেন।
এই দশ দিনের জিকির অন্য দিনের জিকির থেকে উত্তম। ইমাম আহমাদের মুসনাদে বর্ণিত আছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে আমলের জন্য অধিক প্রিয় ও উত্তম জিলহজ্জের দশ দিনের চেয়ে অন্য কোন দিন নেই। সুতরাং এ দিনগুলোতে বেশি বেশি তাহলীল, তাহমীদ ও তাকবীর পড়ো।
হে ঈমানদারগণ! এই দশ দিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং এ দিনগুলোকে আল্লাহ তায়ালা যেমন সম্মানিত করেছেন তেমন সম্মানিত করুন। এ দিনগুলোতে বেশি বেশি তাঁর ইবাদত করুন এবং এতে কল্যাণ অর্জনে অগ্রগামী হোন। এ দিনগুলোই দুনিয়াতে সম্মানিত দিনগুলোর অন্যতম।
সহিহ বুখারীতে আছে-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই দিনগুলো ছাড়া অন্য আর কোন দিন নেই যেগুলোতে ভালো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দের হয়।
অর্থাৎ জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন। সাহাবীরা রা. বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়? নবীজি বললেন, জিহাদও নয় তবে যে ব্যক্তি জান মাল নিয়ে বের হলো আর এর বদলে কোন কিছু নিয়ে ফিরলো না।
ইবনে রজব র. বলেন, শীর্ষস্থানীয় কতিপয় মুতাআখখিরীন আলেমের তাহকীক হলো জিলহজের এই দশদিনের সমষ্টি রমজানের দশদিনের সমষ্টি থেকে উত্তম কিন্তু রমজানের সে দিনগুলোতে এমন রাত আছে যার ফজিলত অন্য কোন রাতে নেই।
-এটি