ডক্টর মুহাম্মদ আল আরিফী।।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, সৌদি আরব
অনুলিখন: মুহাম্মদ ইশরাক।।
আল্লাহ তায়ালা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেছেন, 'আপনি তাদের থেকে নিবৃত্ত থাকুন। তাদের ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের সাথে মোশাওয়ারা করুন।'
এখন কেউ যদি মোশাওয়ারাকে অপ্রয়োজন মনে করে। তবে সে যেন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর নাজিলকৃত ওহী থেকেই মুখ ফিরে নিলো।
আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের প্রশংসা করে বলেছেন, আর তাদের কাজ পরস্পরে মোশাওয়ারা করেই হয়।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বদর প্রান্তরে কাফেরদের আগেই রণক্ষেত্রে পৌঁছলেন। তখন কূপের একপাশে অবস্থান নিলেন আর অপর পাশ কাফেরদের জন্য ছেড়ে দিলেন।
এ সময় সাহাবী হিবাব বিন মুনজির রা. নবীজির কাছে এসে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, এভাবে এস্থানে অবস্থান নেয়ার নির্দেশনা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাকি এটা শুধু রণকৌশল?
নবীজি বললেন, শুধু রণকৌশল ও ব্যক্তিগত অভিমত । আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন ওহী নয়। তখন সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল এ মতটা যথার্থ নয়। বরং আমরা একটু সামনে এগিয়ে অবস্থান করবো। আর কূপটাকে আমাদের পেছনে রাখবো। যেন যুদ্ধ চলাকালীন পিপাসার্ত হলে আমরা পানি পান করতে পারি। আর শত্রুরা তৃষ্ণার্থ হলে পানি পান করতে না পারে।
এ কথা শুনে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হিবাবের কথার উপরই আজকের ফয়সালা। তোমরা আগে বাড়ো।
নবীজি এখানে বলেননি, কে আমার মত পরিবর্তন করতে চায়? অথবা কে ভিন্ন মত উপস্থাপন করতে চায়? এ কথাও বলেননি,কেন এমন বললে অথচ তোমরা কি জানো না; আমার কাছে ওহী আসে?
এগুলো কিছুই বলেননি বরং সাহাবী মত প্রকাশ করলেন। নবীজি পর্যবেক্ষণ করে সঠিক মনে করলেন। আর সে মতের অনূকূলে ফয়সালা দিলেন।
-এটি